হোম » অন্যান্য বিভাগ » মধুটিলা ইকোপার্কে চিড়িয়াখানার হরিণ জবাই: আটক এক

মধুটিলা ইকোপার্কে চিড়িয়াখানার হরিণ জবাই: আটক এক

মোঃ শরিফ উদ্দিন: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে থাকা মিনিচিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি রাতের আঁধারে জবাই করে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

ওই ঘটনায় ৭- ৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বাদশা মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

গত রবিবার রাতে হরিণ জবাই করার ঘটনার পর সোমবার সকালে বাদশা মিয়াকে আটক করে মঙ্গলবার শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত বাদশা মিয়া উপজেলার বাতকুচি গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে। বন বিভাগ ও স্থানীয় সীত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতাধীন মধুটিলা- ইকোপার্কের ভেতরে মিনিচিড়িয়াখানায় থাকা দুইটি হরিণের মধ্যে একটির মরদেহের অংশ বিশেষ পার্কের ভেতরেই পাওয়া যায় গত ৯ এপ্রিল। পরে ওই হরিণটি বন্য শিয়াল খেয়ে ফেলেছে বলে জানান বন কর্মকর্তারা।

পরে চিড়িয়াখানায় থাকা একটিমাত্র চিত্রাহরিণটি গত রোববার রাতে বাতকুচি নামাপাড়া এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্ত মিলে চুরি করে জবাই করার পর ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। পরে সোমবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে বন বিভাগের লোকজন তদন্তে নামেন এবং সকালে বাতকুচি বাজার থেকে ওই গ্রামের বাদশা মিয়াকে আটক করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাদশা মিয়ার পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এদিকে প্রাপ্ত বয়স্ক হরিণটির ওজন প্রায় ৫০ কেজির উপরে ছিল। জবাই করার পর ৫০ কেজির মতো মাংস পাওয়া গেছে বলেও জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী শেরপুর আদালতে একটি মামলা করে মঙ্গলবার আটককৃত বাদশাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় ৭-৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

error: Content is protected !!