হোম » অন্যান্য বিভাগ » ঋণের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে একমতে পৌঁছেছেন বাইডেন-ম্যাকার্থি

ঋণের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে একমতে পৌঁছেছেন বাইডেন-ম্যাকার্থি

আওয়াজ অনলাইন: কঠিন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে অনেক আগেই। এর জেরে ঋণ সীমা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার থেকে বাড়াতে ইচ্ছুক ফেডারেল সরকার। ঋণ সীমা বাড়ানো নিয়ে সর্বশেষ এক মাসে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার এবং রিপাবলিকানের শীর্ষ নেতা কেভিন ম্যাকার্থি। অবশেষে ঋণের সীমা বাড়াতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই শীর্ষ নেতা। দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একমতে পৌঁছাতে সক্ষম হন তারা। আজ রোববার (২৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ঋণ বাড়াতে একমতে পৌঁছালেও চুক্তিটি কোনো ধরনের উদযাপন ছাড়াই ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বুঝা যায়, একমতে পৌঁছাতে দুপক্ষের মধ্যে বেশ তিক্ততা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ সীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ আগামী ৫ জুন। এর আগে সমঝোতাই না পৌঁছালে ঋণ পরিশোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ থাকবে না। এতে করে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে দেশটি।

ঋণ সীমা বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ম্যাকার্থি লেখেন, ‘কিছু সময় আগেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হয়েছে। দীর্ঘ সময় নষ্ট করার পরে ও কয়েক মাস ধরে আলোচনা করতে অস্বীকার করার পরে, আমরা নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে এসেছি যা মার্কিনিদের জন্য যোগ্য।’

এই চুক্তিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই চুক্তিটি আপসের প্রতিনিধিত্ব করে, যার অর্থ সবাই যা চায় সবসময় তা পায় না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণের সীমা স্থগিত করবে। এর ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ব্যয় নির্ধারিত করার সময় কোভিড তহবিলে অব্যবহৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা যাবে।

ঋণের সীমা বাড়াতে সর্বশেষ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এ নিয়ে তর্ক বিতর্কও কম হয়নি। অবশেষে বাইডেন ও ম্যাকার্থির ৯০ মিনিটের ফোনালাপের চুক্তিটি হয়েছে। ফোনালাপের পর রিপাবলিকানদের এই নিয়ে ব্রিফ করেন ম্যাকার্থি। এরপরেই হোয়াইট হাউস ও হাউসের লিডার এ নিয়ে মুখ খুলেন।

ক্যাপিটাল হিলে সাংবাদিকদের ম্যাকার্থি বলেন, ‘ঋণ সীমা বাড়ানোর চুক্তিটি কাগজে কলমে নির্ধারণ করতে আমাদের আজ রাতে অনেক কাজ করতে হবে। আমার আশা, রোববারের মধ্যেই বিলটি সম্পূর্ণভাবে লেখা হবে। আর আগামী বুধবার চুক্তিটি নিয়ে ভোটাভুটি করবেন বাইডেন।’

ঋণের সীমা বাড়ানোর বিলটি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ ও নিম্নকক্ষেই পাস হতে হবে। বর্তমানে ২২২ আসন নিয়ে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। অন্যদিকে ৫১ আসন নিয়ে উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতে।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, ‘আলোচনাকারীরা ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেই এমন খাতে ব্যয় কমাতে একমত হয়েছে। তবে, ২০২৫ সালের বাজেটে এই ব্যয় এক শতাংশ বাড়ানো হবে।’

ম্যাকার্থি বলেন, ‘ব্যয় কমানোর এই পদক্ষেপটি ঐতিহাসিক। এর ফলে মার্কিনিদের দারিদ্রতা থেকে বের করা যাবে ও তাদের আরও কাজ করার জন্য জোর দেওয়া যাবে। সরকারি বাড়াবাড়ির ওপর লাগাম টেনে ধরবে- কোনো নতুন কর নেই, কোনো নতুন সরকারি কর্মসূচি নেই।’

error: Content is protected !!