হোম » অন্যান্য বিভাগ » গাইবান্ধায় হত্যা মামলার এজহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধায় হত্যা মামলার এজহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার

শাহজাহান সিরাজ: গাইবান্ধায় র‍্যাব-১৩  কর্তৃক গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার পূর্ব ফরিদপুর এর আমেনা বেগম (৫৫) হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় আসামী মোঃ শহীদ মিয়া (শরিফ) মিয়া (৩৫) আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে।
৫ই মে শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব -১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৪ই মে বৃহস্পতিবার  রাতে গোপন সংবাদের  ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন বুজরুক বিষ্ণপুর, এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম আমেনা বেগম (৫৫) হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ শহীদ মিয়া ওরফে শরীফ মিয়া গ্রেফতার করেন।
 সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,ভিকটিম আমেনা বেগম (৫৫) এর পরিবারের সংগে আসামীদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঝগড়া বিবাদ, মারামারিসহ মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
আসামি মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এমতাবস্তায় গত ০৪/১১/২০২২ ইং তারিখ রাত ২০.০০ ঘটিকা হইতে পরদিন ০৫/১১/২০২২ ইং তারিখ ভোর ০৬.০০ ঘকিকার মধ্যে ভিকটিম আমেনা বেগম (৫৫)কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামীগণ গুরুতর রক্তাক্ত যখমসহ হত্যা করিয়া ঘাসের জমিতে ফেলে রাখে।
ভিকটিম এর আত্নীয়স্বজন পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুজি করিয়া ভোরে  উল্লেখিত স্থান হতে উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মোঃ আউয়াল সরকার (৩২) বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন বুজরুক বিষ্ণপুর, এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম আমেনা বেগম (৫৫) হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ শহীদ মিয়া ওরফে  শরীফ মিয়া (৩৫), পিতা-মোঃ দুদু মিয়া, সাং- বুজরুক বিষ্ণপুর, থানা- পলাশবাড়ী, জেলা-গাইবান্ধা’কে গ্রেফতার করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,  গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে আত্নগোপন করিয়া বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করত। র‍্যাবের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী বলে স্বীকার করেছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে।
error: Content is protected !!