হোম » অন্যান্য বিভাগ » দ্বিতীয় দিনে ট্রেনে এক আসনের বিপরীতে ৪৭ জনের চেষ্টা

দ্বিতীয় দিনে ট্রেনে এক আসনের বিপরীতে ৪৭ জনের চেষ্টা

আওয়াজ অনলাইন: ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিনেও নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গসহ চাহিদা বেশি থাকা রুটের সব টিকেট। যথারীতি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেলের পূর্বাঞ্চলীয় রুটের টিকেট পাওয়া যাচ্ছিলো। এবার সব আগাম টিকেট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। 

শনিবার সকাল আটটার সময় অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরু হবার পরপরই রেলসেবা অ্যাপ ও রেলের পোর্টালে এক আসনের বিপরীতে ৪৭ জন টিকেট কাটার চেষ্টা করেছেন। ১৮ এপ্রিলের ২৮ হাজার টিকেটের জন্য একসঙ্গে লগইন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখ টিকেট প্রত্যাশী।

এদিনও যথারীতি চাহিদার শীর্ষে ছিলো উত্তরবঙ্গগামী তথা রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট। তাই শুরুতেই বিক্রি হয়ে গেছে উত্তরাবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর প্রায় ১৩ হাজার টিকেট। তবে, চট্টগ্রাম বা সিলেটগামী পূর্বাঞ্চলের কিছু টিকেট এখনো অবিক্রিত আছে।

উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা। ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলা চার আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয়ে সাড়ে ৯টার দিকে।

বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, একসাথে অনেক মানুষ চেষ্টা করায় সার্ভারে কিছুটা জটিলতা হচ্ছে, সবাই ক্লিক করার সাথেই সাথেই টিকেট পাচ্ছেন না। ফলে অনেকবার চেষ্টা করতে হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে হিট কমতে থাকায় এই জটিলতা কাটতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সার্ভার জটিলতায় অনেকে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে, পরের ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি অনেকের। লোডিংয়ের চাকতি ঘুরছিলো।

‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন’ নামক দেড় লাখ রেলযাত্রীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের নানা ভোগান্তি তুলে ধরেছেন যাত্রীরা। তারা জানান, দুই ঘন্টা চেষ্টা করেও লগইন করতে পারছে না, আবার টিকেট বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে। অনেকে উত্তরবঙ্গে বাড়তি ট্রেনের দাবিও জানিয়েছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, রেলের আগাম টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জটিলতা কমে গেছে বলেও জানান তিনি।

এই রেল কর্মকর্তা আরও জানান, রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে কমপক্ষে ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় ৮ হাজার। কিন্তু টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ আজ অনেকটাই বেশি। কমপক্ষে সাড়ে ১৩ লাখ ভিজিটর একবারে প্রবেশ করছেন, আর এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

error: Content is protected !!