হোম » গণমাধ্যম » চলচ্চিত্রে সময় ও সমাজের সত্যকে তুলে ধরতে হবে– রবি উপাচার্য 

চলচ্চিত্রে সময় ও সমাজের সত্যকে তুলে ধরতে হবে– রবি উপাচার্য 

হাবিবুর রহমান: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ (বৃহস্পতিবার) বগুড়া পুন্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, ফিল্ম আমাদের সংস্কৃতির একটি বিশেষ ধারা এবং  একইসঙ্গে একটি মিশ্র সাংস্কৃতিক মাধ্যমও । ফিল্ম  গণমানুষকে জাগ্রত করার শক্তি ধারণ করে।
সমাজের যেকোনো সংকট মোচনের জন্য অসম্ভব ম্যাগনেটিক পাওয়ার আছে ফিল্মের। এই পাওয়ারটিকে ব্যবহার করার যোগ্যতার মধ্যেই নির্ভর করে কে ভালো ফিল্মমেকার। কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় কে উদ্ধৃত করে রবি উপাচার্য বলেন  ‘স্বয়ং চলচ্চিত্রই একটি ভাষা’।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র হচ্ছে সেই ভাষা যার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। ১২৭ বছরের পরিক্রমায় চলচ্চিত্র নানান রূপ নিয়েছে–কখনো অবাক, কখনো নির্বাক, কখনো সবাক, কখনো সাদাকালো, কখনো রঙিন, কখনো সেলুলয়েড এবং কখনো ডিজিটাল।
রবি উপাচার্য বলেন,  ১২৭ বছর ধরে রূপান্তরিত হতে হতে চলচ্চিত্রের নিজস্ব একটি ধারা তৈরি হয়েছে, এই ধারাটির মধ্যে আমরা দেখেছি সেই চলচ্চিত্রটি জনপ্রিয় হয়, যে চলচ্চিত্রটি মানুষের কথা বলে, সেই চলচ্চিত্রটি দীর্ঘস্থায়ী হয় যে চলচ্চিত্রটি সমাজের কোন একটি সংকট নিরসনের জন্য মানুষের মধ্যে জাগরণের সৃষ্টি করে।
১৯১৫ সালের এপিক চলচ্চিত্র ‘দ্য বার্থ অফ নেশন’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে এই চলচ্চিত্রটি আমাদের ধারণা বদলে দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে চলচ্চিত্রের আমূল পরিবর্তন হয়েছে এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ইংরেজি ভাষা ছাড়াও  বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়।
আমাদের এখানে বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভারত ও জাপানের চলচ্চিত্রের যে পরিবর্তন হয়েছে তা তুলে ধরেন। আকিরা কুরোসাওয়ার ‘ রশোমন ইফেক্ট ‘ এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একটি নতুন ধারার চলচ্চিত্র তৈরি হলে অন্য চলচ্চিত্র ওই ধারাকে গ্রহণ করে।
প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, যে জিনিসটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় চলচ্চিত্রের প্রযুক্তিতে পরিবর্তন ঘটেছে সেই প্রযুক্তির পরিবর্তনটি ধারণ না করলে সেটি একটি অপরাধ, এ পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করতে না পারলে আমরা ব্যর্থ হবো, এবং এই পরিবর্তনটা নিয়েই আমাদের তরুণদের সামনে যেতে হবে।
চলচ্চিত্র উৎসবটির উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক বজলুল করিম বাহার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, বীট মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ শাহাবুদ্দীন সৈকত, নেপালের প্রযোজক ইন্দু জোসি।
error: Content is protected !!