হোম » প্রধান সংবাদ » নির্বাচনী ছক নিয়ে ধোঁয়াশায় ১৪ দলের শরিকরা

নির্বাচনী ছক নিয়ে ধোঁয়াশায় ১৪ দলের শরিকরা

আওয়াজ অনলাইন  : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোরেশোরে প্রস্তুতি নিলেও আসন বন্টন নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে। একসঙ্গে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও নির্বাচনী ছক নিয়ে ধোঁয়াশায় আদর্শিক এই জোট।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ দলীয় আদর্শিক জোট। একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠনের কথা থাকলেও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করায় জোট শরিকদের সঙ্গে শুরু হয় কিছুটা টানাপোড়েন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেহেতু প্রধান দল তারা হিসাব করছে  যে বিএনপি আসলে নির্বাচনে আসবে কিনা, যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আসন বণ্টন এবং সমস্ত বিষয়টির পরিকল্পনা এক ধরনের হবে। আর যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে পরিকল্পনাটা ভিন্ন হবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে এখনও কোনো স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। সুতরাং তফসিল ঘোষণার পরও এই অনিশ্চয়তাটা থেকে যাবে।”

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “কে কতোটা আসন নিবে এ বিষয়টি আমরা উত্থাপন করেছি এবং আসন বণ্টনের বিষয়টা খুব অল্প দিনের ভেতরেই আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে নিষ্পত্তি করবো। এ বিষয়টা নিয়ে কখনই সেইভাবে খোলামেলা আলোচনা হয়নি।”

জোটভুক্ত দলগুলো এবার গত তিন নির্বাচনের চাইতে বেশি আসনের দাবি তুলেছে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনে অংশীদারিত্বের সমীকরণও স্পষ্ট জানতে চায় তারা।

হাসানুল হক ইনু বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর একসঙ্গে চলার পথে আমরা আরও সমৃদ্ধ পেয়েছি, সুতরাং আরও বাড়তি আসনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারবো।”

রাশেদ খান মেনন বলেন, “আমরা ন্যুনতম সাতটি আসন চাইবো। আওয়ামী লীগ বলি বা ১৪ দল বলি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গা এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর।”

এদিকে কয়েক দফা আলোচনা এগোলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষায় ১৪ দলে যোগ দিতে আগ্রহী ছোট বড় অন্তত ১৫ থেকে কুড়িটি রাজনৈতিক দল ও জোট।

প্রগতিশীল ইসলামী জোট চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, “যে সমস্ত রাজনৈতিক দল, জোট নির্বাচন করতে চায়- আমরা চাই  সবাইকে নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমাদের জোট ১৪ দলের সাথে মিলে নির্বাচন করলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো সবচেয়ে বেশি।”

আওয়ামী লীগ বলছে, জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে আগ্রহী সবাইকেই নিজ এলাকায় কাজ করতে বলা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “যাদের নির্বাচন করার কথা তারা মোটামুটি জানে কারা নির্বাচন করবে। আমাদেরও তো বলে দেওয়া হয়নি যে তুমি নির্বাচন করবা। যেখানে আমাদের দলের প্রার্থীদের বলে দেওয়া হয়নি সেখানে অন্য দলের প্রার্থীদের তো বলার সময় আসেনি। সুতরাং তাদের সঙ্গে আমাদের একটা অলিখিত বোঝাপড়া আছে, আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবেনা।”

error: Content is protected !!