হোম » প্রধান সংবাদ » আমার জন্ম না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই যাচাই বাছাই হতো না —অতিরিক্ত সচিব এস এম মাহবুবুর রহমান

আমার জন্ম না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই যাচাই বাছাই হতো না —অতিরিক্ত সচিব এস এম মাহবুবুর রহমান

রবিউল হাসান লায়ন : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম মাহবুবুর রহমান বলেছেন-আমার জন্ম না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই যাচাই বাছাই হতো না।
আমি যোগদান করার পর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকগুলো কাজ করেছি। আমার পূর্বে এই জেলার দুইজন বাসিন্দা ছিলেন, তারা কিছুই করেন নাই। মুক্তিযোদ্ধা হওয়া বা না হওয়া, বানানো, অভিযোগ দায়ের এবং সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়েও তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেন। তিনি নিজেকে সৎ অফিসার আখ্যা দিয়ে বলেন, আমার মতো ভালো কর্মকর্তা আর নেই। তাঁর এই বক্তব্যে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ বিষয়ে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম বাবু, জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন-মাহবুব সাবের বক্তব্যে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপনা করেছেন! তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা জানি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীনদেশ পেতাম না। তার আত্মঅহমিকা এই বক্তব্যে আমরা হতবাক।
মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জামালপুরের মেলান্দহে মির্জা আজম আধুনিক অডিটোরিয়ামে ডি ক্যাটাগরি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত যাচাই বাছাই উদ্ধোধনী বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান এবং ইউএনও সেলিম মিঞা।
দুপুরে যাচাই বাছাই শুরুতেই মাহবুবুর রহমান সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুজায়াত আলী ফকিরের সাথেও বিতর্কে জড়ালে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়।  এতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র প্রতিবাদ করেন। এ সময় তিনি যাচাই বাছাই কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা  করেন। কিছুক্ষণ পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা এবং সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সৈয়দ হারুন অর রশিদের মধ্যস্থতায় আবারো যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন।
সন্ধ্যার আগে যাচাই বাছাই শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে অহেতুক তর্কে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য শাসিয়ে দেন। তাঁর উদ্ধতপূর্ণ আচরণে সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধারাও হতবাক হন।
যাচাই বাছাই শেষে এ বিষয়ে ইউএনও’র কার্যালয়ে গণমাধ্যকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধারা মাহবুবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি যোগদানের আগের তিন বছর কেন যাচাই বাছাই করা হলো না। এই তিন বছর কোথায় ছিলেন?
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউএনও সেলিম মিঞা বলেন, বিষয়টি আমার উপর ছেড়ে দিন। এ নিয়ে আমরা পরে বসবো।
error: Content is protected !!