হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিকথা – দশ

সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিকথা – দশ

শেখ হান্নানঃ সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান (তিন মতিন) “আলহাজ্ব এম এ মতিন, অধ্যাপক ডাক্তার এম এ মতিম এবং ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন” এর সাথে সিরাজগঞ্জের তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র “আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক ডাক্তার এম এ মতিন এবং মোহাম্মদ নাসিম”এই তিন জনের সহ মোট ছয় জন কৃতি সন্তানের মৃত্যুর তারিখ ১৩ জুন।

তাদের মৃত্যু কাকতলীয় এবং অলৌকিকভাবে একই তারিখ মিলে যাওয়ার আশ্চর্য মৃত্যুর তারিখ নিয়ে লিখেছি।

এবার জানবেন সিরাজগঞ্জের গর্ব, মেধাবীছাত্র, বিজ্ঞ আমলা, কৌশলী কূটনীতিক মানুষের গল্প।

যার নাম এইচ টি ইমাম বা হোসেন তৌফিক ইমাম। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি ১৯৬১ সালের পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস (সিএসপি) পরীক্ষায় সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলার ডিসি ছিলেন। প্রবাসী মুজিব সরকারের কেবিনেট সচিব, এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পযর্ন্ত। তারপর অষ্টপ্রহর খুনীদের তরবারি ও বুলেটের মুখে ১৯৭৫ এর ২৬ অগাস্ট পযর্ন্ত ওই পদে বহাল ছিলেন। খন্দকার মোস্তাকের মন্ত্রী পরিষদে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিপথগামী আর্মি ও মোস্তাকের নির্দেশে তাকে বন্দিকরে বঙ্গভবনে আনা হয়। এরপর প্রায় দুইবছর কারারূদ্ধ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অকৃতিম ভালোবাসা, আনুগত্য ও কতখানি অনুরাগ বিশ্বস্থতা ছিল তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জানতেন। তিনি এই বিশ্বস্ততা পুরস্কার ও বিজ্ঞ বিবেচনায় ২০০৯ সালে জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ২০১৪ সালে রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান।

এইচ টি ইমাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান। তিনি সুবক্তা ও বাংলাদেশ সরকার -১৯৭১ এবং বাংলাদেশ সরকার-১৯৭১-৭৫ গ্রন্থের লেখক।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পযর্ন্ত সিরাজগঞ্জ-২ সদর আসনের এমপি এবং বিএনপি সরকারের বিদু্ৎ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জের বিদুৎ ব্যবস্থাসহ অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন শক্ত প্রতিপক্ষ। সিরাজগঞ্জের যে কয়জন ঝানু রাজনীতিবিদ আছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের পুত্র, সাবেক উপপ্রধান মন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার এম এ মতিনের শ্যালক এবং সদর আসনের সাবেক এম পি রুমানা মাহমুদের স্বামী।

এবারে জানবেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক কর্মী কীভাবে ক্ষমতার শীর্ষে চলে আসে। তিনি হলেন বেলকুচি উপজেলার আবদুল লতিফ বিশ্বাস। ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, তারপর ২০০৮ সালে এমপি। অতপর তিনি মন্ত্রী। সাংগঠনিক যোগ্যতাবলে, সফলতা ও বিজ্ঞতার সাথে মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিরাজগঞ্জের এই কৃতি সন্তান । তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
।। (চলবে)।।
রচনা ও গ্রন্থনা:- শেখ হান্নান
নাট্যকার ও লেখক।
তারিখ :- ২৪ অগাস্ট, ২০২০খি:

error: Content is protected !!