হোম » প্রধান সংবাদ » গাইবান্ধায় আনন্দটিভি প্রতিনিধির ক্যামেরাম্যান গ্রেফতার থানায় মামলা দায়ের ইউপি চেয়ারম্যান চিকিৎসাধীন

গাইবান্ধায় আনন্দটিভি প্রতিনিধির ক্যামেরাম্যান গ্রেফতার থানায় মামলা দায়ের ইউপি চেয়ারম্যান চিকিৎসাধীন

গাইবান্ধা জেলার ৩ গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ভিডিও ধারণ করে ব্যাক মেইল ও চাদা দাবীর অভিযোগে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে আনন্দটিভির প্রতিনিধির একজন ক্যামেরাম্যান নুর আলম আটক হওয়ার পর অবশেষে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।  ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লিটন মিয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৪/৪৫ এ মামলায় নুর আলম কে গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ মামলায় গ্রেফতারকৃত নুর আলম (২২) গাইবান্ধা সদর থানার প্রফেসার কলোনীর সাজু মিয়ার ছেলে।  এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামী হলেন ১ নং আসামী ফুলছড়ি উপজেলার থানা পাড়ার মশিউর রহমান চানের ছেলে কতিথ নামধারী গণমাধ্যমকর্মী মেহেদী হাসান বাবু ও মামলার ২ নং আসামী আনন্দটিভি ষ্ট্যাফ রিপোটার মিলন খন্দকার বর্তমান সময়ে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। আনন্দটিভি প্রতিনিধির ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যান ৩নং আসামী নুর আলম (আটককৃত)সহ ৮ হতে ১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি গত ৯ মে রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আয়োজনে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ কালে ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভিজিডি ও ভিজিএফ সুবিধাভোগীদের মাঝে চেয়ারম্যানের স্ত্রী স্লিপ প্রদান করাকালে অভিযুক্তদের নিকট থাকা ক্যামেরা ভিডিও ভিডিও ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদানে অনিয়মের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে ব্ল্যাক মেইল করার চেষ্টা ও ভিডিও ডিলেট করতে প্রথমে টাকা চাদা দাবী করে। বিষয়টি স্থানীয় সাক্ষিগণের সামনে হওয়ায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান কে অবগত করলে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, অভিযুক্তরা দ্রুত সটকে পরে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে
পরিষদের ২ তলা হতে ইউপি চেয়ারম্যান কে নিয়ে অভিযুক্তরা সমিতির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে উক্ত ভিডিও দেখায় এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে সম্মানহানি ও নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাদা দাবী করে। এরপর তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লিটন মিয়া অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন কে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বাবু অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করে এর প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লিটন কে অভিযুক্তরা কিল ঘুষি ,লাত্থি মারিয়া চেয়ারম্যান লিটন মিয়া মাথায়, বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর বেদনাদায় জখম করে। এসময় উপস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের একটি টিম। তারা বিষয়টি জানে ও দেখেন এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় আটককৃত নুর আলম কে ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুর রহমান লিটন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান মোহাম্মদ দোলন জানান,উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে জনরোষ হতে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিজ্ঞ আদালতে জানা যাবে কে কতটুকু অপরাধ করেছে।  ভারপ্রাপ্ত ফুলছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে জনরোষ হতে উদ্ধার আটক নুর
আলম সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। আহত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লিটন বলেন, উক্ত ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। আজ তারা আমাকে নিয়ে ও আমার পরিবারকে নিয়ে গভীর ষরযন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অপরদিকে অভিযুক্তরা মামলাটিকে মিথ্যা দাবী করেন। এদিকে এমন নেক্কার জনক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার সচেতন মহল ও প্রথমসারির গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছেন আনন্দটিভির ষ্ট্যাফ রিপোর্টার মিলন খন্দকারসহ তার সাথে থাকা কথিত কিছু নামধারী গণমাধ্যমকর্মী। যারা প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে চাদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন এবং নানা প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। এতে জেলা জুড়ে কর্মরত সকল দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মীদের নানা ভাবে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
error: Content is protected !!