হোম » প্রধান সংবাদ » ঠাকুরগাঁওয়ে তরমুজ ও আনারহ পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে তরমুজ ও আনারহ পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ   কৃষকের কাছ থেকে পাইকারী দরে তরমুজ ও আনারস পিস হিসেবে কিনেন ব্যবসায়িরা। কিন্তু খুচড়া বাজারে তা কেজি হিসেবে চড়া মূল্যে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে সাধারণ ক্রেতারা চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় বুধবার পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারে এক ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ক্রেতা তরমুজের দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা কেজি হিসেবে তাকে দাম জানান। পরে ক্রেতা ২৫০ গ্রাম ও পরে হাফ কেজি তরমুজ দিতে বললে বিক্রেতা ক্ষেপে যান। তিনি তরমুজ নিতে চাইলে পুরো তরমুজ কেজি হিসেবে নিতে বলে বলে জানিয়ে চেচামেচি শুরু করলে ক্রেতা ও বিক্রেতার
মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।   পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর মহল্লার ক্রেতা খলিল উদ্দিন বলেন, তরমুজ কিনতে আসি। আমি আমার চাহিদামহ ২৫০গ্রাম বা হাফ কেজি তরমুজ দিতে বলি। কিন্তু তিনি পুরো তরমুজ কেজি হিসেবে নিতে বলেন। আমি ভোক্তার অধিকার আইনের মতে কেজি দরে যেসব পন্য সামগ্রী বিক্রি হয় সেগুলো ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পরিামানে বিক্রির বিধান রয়েছে জানালে তিনি ক্ষেপে যান। প্রতি পিস তরমুজ ক্ষেত থেকে ১০/১২টাকায় কিনে প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। এতে ৩ কেজির একটি তরমুজ ১০/১২ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২শ টাকায়। ফলে ক্রেতারা চরম
ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।   কালিবাড়ি বাজারের ফল বিক্রেতা বাবুল ও মাহিম হসেন (লিটু) বলেন, আমি মোকাম থেকে তরমুজ কিনেছি চড়া দামে। তাই উল্লেখিত দামেই বিক্রি করছি। ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলে জানান, প্রতিদিন এভাবেই কম দামে তরমুজ ও আনারস কিনে কেজি হিসেবে ১০/১৫ গুন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেটা অমানবিক। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি, তার উপরেও রমজান মাস। ব্যবসায়িরা এভাবে গলাকাটা দামে তরমুজ ও আনারস বিক্রিকে প্রতারণা হিসেবে দেখছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, এ বছর জেলায় মোট ১০৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল। প্রতি হেক্টরে ৩৮ মেট্রিক টন ও মোট ৪ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জমির তরমুজ তুলা হয়েছে। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সম্পুর্ন তরমুজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলায় রপ্তানী করা হবে। আর বর্তমানে দামও ভাল রয়েছে, আশা করছি এ বছর কৃষকেরা ন্যর্য্য মূল্য পাবেন।
error: Content is protected !!