হোম » প্রধান সংবাদ » শেরপুরে শেরুয়া পাঠানটোলা স: প্রা: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

শেরপুরে শেরুয়া পাঠানটোলা স: প্রা: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া পাঠানটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে
ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি। শ্লিপ, প্রাকপ্রাথমিক, রুটিন, মেরামত ও স্কুল সংস্কারের জন্য বরাদ্ধকৃত ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছর টাকা আত্মসাৎ। এবং নির্মানকৃত শহীদ মিনার নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী করা, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে সজ্জায়িত ও কোন কার্যক্রম না থাকার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানায়ায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের স্কুল সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ও স্নিপের ৫০ হাজার, রুটিন ও মেরামত ৪০ হাজার এবং প্রাক-প্রাথমিক ১০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পায়।

 

সেই টাকা দিয়ে স্কুলের বাউন্ডারি, শহীদ মিনার স্থাপন, স্কুলের সজ্জায়িত করা হয়। সেই কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে সচেতন মহল। এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছর স্নিপের ৫০ হাজার টাক  আবারও শহীদ মিনার স্থাপন, শিক্ষকদের নামের তালিকা ও বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার,  একটি দেওয়াল ঘরি ক্রয় দেখানো হয়েছে। একই শহীদ মিনার স্থাপন করার খরচ দুই বার দেখানো হয়েছে। এবং প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকায় শুধু প্রাক-প্রাথমিকের ঘরের ২ফিট করে চার দেওয়ালে কালো রং, ২টি বাঁশের তীর ও দুটি জানালার গ্রীলে ১০ হাজার টাকার খরচ দেখানো হয়েছে।

 

এলাকাবাসীরা বলেন, এই কাজগুলো করতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। বাঁকি টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক। সরেজমিনে প্রতিবেদক প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করে রুম থেকে বাহির হয়ে যায়। এবং সহকারি শিক্ষা অফিসার ওবাইদুর রহমানকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়। পরে তার বুদ্ধিতে প্রধান শিক্ষক পরে আসতে বলে। এবং ঐদিন রাতের অন্ধকারে শেরশাহ মার্কেটের উপরে তারা একত্রিত হয়ে খরচের নতুন করে ভাউচার তৈরী করে। এলাকাসী জানান, এই স্কুলটির মাঝে মাদককারবারীর আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সন্ধার পরথেকে মাদক সেবীরা মাদকের আড্ডাও দেয় দেখার কেউ নেই।

 

এ বিষয়ে শেরুয়া পাঠানটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিন কোন তথ্য দিতে পারবেনা বলে অনিহা প্রকাশ করে। এ ব্যাপরে সহকারী শিক্ষক ওবাইদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি করতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। শিক্ষা অফিসার মিনা পারভিন বলেন, করোনা কালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় কোন বিষয়টি পরিপূর্ন দেখা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ বলেন, যে কেউ দুর্নীতি করে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!