হোম » প্রধান সংবাদ » সবজিতে স্বস্তি, চালে-তেলে অস্বস্তি;শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি 

সবজিতে স্বস্তি, চালে-তেলে অস্বস্তি;শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি 

আজিজুর রহমান হাবিপ্রবি সংবাদদাতাঃ আমন ধানের ভরা মৌসুমে আশানুরূপ উৎপাদন হলেও বাজারে চালের দাম আগের মতো থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এদিকে আবার কারণ ছাড়াই বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম।উচ্চ মূল্যে চাল ও ভোজ্য তেল মূল্য  বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। কিন্তু সাধারণ নাগরিকের আয় সেভাবে বাড়ছে না। বাড়তি মূল্যে পণ্য কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে অনেকেরই। তাঁরা আরও জানান,আমাদের নিদিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে চলতে হয়।বর্তমান সময়ে সবজির মূল্য কম থাকলেও বাজার চাল-তেলেসহ বেশকয়েকটি নিত্যদিনের খাবার পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বাজারে আলুসহ কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। সঙ্গে মাছের দামও কমেছে বেশ খানিকটা। কমেনি চাল ও তেলের দাম।রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে বাঁশেরহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে বেশ কিছু সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।এর মধ্যে রয়েছে আলু,কুমড়ো, মুলা, শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি,গাজড়, টমেটো, বেগুন, লাউ, পেঁপে,পেঁয়াজ।তবে বাজারে এই মৌসুমে নতুন সবজিসহ মটরশুঁটি ও কাঁচামরিচের মূল্য একটু বেশি।

 বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, শিম ১৫ টাকা,ফুলকপি ও
বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা, গাজর ২০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, লাউ শাক ১০ টাকা,লাউ ১৪ টাকা,মটরশুঁটি ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৪৫-৫০ টাকা,পেঁয়াজ ৩৯ টাকা, আঁদা ১০০
টাকা, রসুন প্রতিকেজি ১২০-১৬০ টাকা।

মাছের বাজারে দেশি রুই প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, জাপানি রুই ৯০-১১০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১১০ টাকা,
কাতাল ১৩০ থেকে ১৫৯০ টাকা,পাঙ্গাস ১০০ টাকা, পুঁটি ১২০ টাকা, সিলভার কাপ ৫০-১১০ টাকা, সুরমা ইলিশ ১২০-১৫০ টাকা। মাংসের বাজারে খাসির মাংস ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকায়।

এদিকে বাজারে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। গত ডিসেম্বরে ৪০ টাকায় নিম্নমানের চাল আজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।স্বর্ণা চাল গত ডিসেম্বরে ৪২ টাকা আজ ৪৮ টাকা, আটাশ চাল গত ডিসেম্বরে ৫০-৫২ টাকা আজ ৫৮ টাকা,মিনিকেট চাল গত ডিসেম্বরে ৫৫ টাকা আজ ৬৫ টাকা, কাটারি আতপ গত ডিসেম্বরে ৮০ টাকার চল আজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়।

ডিসেম্বর মাসে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, এখন এই তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। একই অবস্থা পাম তেলের ক্ষেত্রেও।ডিসেম্বরে যেখানে প্রতি কেজি সুপার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১০০০ টাকা দরে। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা দরে।

মোশারফ নামে এক দোকানী বলেন, বর্তমান সময়ে কাঁচা সবজি বাদে প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং চাল-তেল সহ বেশকয়েকটি পণ্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এতে করে বাজার করতে আসা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করে।আমরা তো দোকানী, আমরা যেমন দামে পণ্য আরত থেকে কিনি সেভাবেই বিক্রি করতে হয়। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়ে ব্যয় যে হারে বেড়েছে তাতে হিসাব মেলাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ বাড়ি ছেড়ে পড়তে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

error: Content is protected !!