হোম » প্রধান সংবাদ » বেতাগীতে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পঅর্পণে সময়ক্ষেপণ,জনমনে ক্ষোভ!

বেতাগীতে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পঅর্পণে সময়ক্ষেপণ,জনমনে ক্ষোভ!

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার কারনে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলীতে পুষ্পঅর্পণে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার বাসিন্দাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবিন্দ। সরকারি বিধিমোতাবেক করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সহ প্রতি বছরের ন্যায় একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটে উপজেলা প্রশাসন এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠিানসমূহ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বেতাগীতে দেখা গিয়েছে এর সম্পূর্ণ বীপরিত। তবে এ ব্যাপরে জানতে চাইলে সম্পূর্ণ বিষয়টি শহিদ মিনার চত্ত¡রে এড়িয়ে যান বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন।
জানা যায়, বেতাগী উপজেলা কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও ভাষা শহিদদের স্মরণে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধাঞ্জলীর আয়োজন করা হয়। তবে রাত ১০ টা থেকে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। রাত ১২টা অতিক্রম করলেও কোন ধরনের ফুল আসেনি উপজেলা প্রশাসণের পক্ষ থেকে। শহিদ মিনার চত্ত¡রে এলাকাবাসির মুখে মুখে গুঞ্জণ ওঠে বেতাগী ইউএনওর দায়িত্ব অবহেলার কারনে এমনটি হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন এমেন ফুল দিতে দেড়ি হতে তারা কখনো কোন মাতৃভাষা দিবসে দেখেননি। আবার যেসকল সরকারি বেসরকারি সংগঠনের নেতৃবিেেন্দর ফুল হাতে ছিলো তারাও শহিদ মিনার দিতে পারেননি। কারন জানতে চাইলে তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের আগে কেউ ফুল দিতে পারবেন না তাতে রাত যতক্ষনই হোক না কেনো এমনটাই জানিয়েছেন ইউএন সুহৃদ সালেহীন।
আরো জানা যায়, বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রতিবছরই বেতাগী উপজেলা পরিষদ,প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলীর জন্য ফুলের তৈরী স্তবক নিয়ে আসা হয়। তবে এবছর উপজেলা প্রশাসনের গাফলতির কারনেই এমনটা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবিন্দ। রাত ১২টা ০১ মিনিটে পুষ্পঅর্পণের নিদের্শনা থাকলেও সেখানে বেতাগী উপজেলা প্রশাসন রাত ১২টা ১৬ মিনটে শহিদ মিনারে ফুল নিয়ে আসে। এবং রাত ১২টা ১৯ মিনিটে শহিদ মিনারে অর্পণ করে। যা প্রতিবেদকের টাইম ক্যামেরায় ছবিসহ ও ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল খান বলেন, বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি থাকতেও ব্যাটারী চালিত অটো বাইকে রাত ১০টার পর ফুল নিয়ে আসার জন্য পাঠনো হয় যা রাত ১২টা ১৬ মিনটে শহিদ মিনার চত্ত¡রে পৌছায় এটি জাতির কাছে বেশ লজ্জাজনক ইস্যু। তাছাড়াও যখন ফুল অর্পন করেছে ছিলোনা কোন সামাজিক দূরত্ব কিংবা শৃঙ্খলা।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আর্ন্তজাাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের এমন দায়িত্ব অবহেলা সত্যিই লজ্জাজনক। যাদরে জন্য মাতৃভাষা পেয়েছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এমন দায়িত্বহীন কাজ কেউ করতে পারেননি।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন এর কাছে এ ব্যাপরে জানতে, রাতে একাধিক বার ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়,পরের দিন ফোনে সংযোগ পেলে ‘পরে কথা হবে, এই বলে হাস্যকর অবস্থায় ফোনটি রেখে দেন’। এ ব্যাপরে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার যে বিষয়টি শুনেছি এর সঠিক কারন ও ব্যাখা জানতে চাইবো এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
error: Content is protected !!