হোম » প্রধান সংবাদ » শেরপুর পৌরসভায় নির্বাচিত  মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রাপ্ত ভোট   

শেরপুর পৌরসভায় নির্বাচিত  মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রাপ্ত ভোট   

শেরপুর প্রতিনিধি : ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহন চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গননা শেষে মেয়র পদে ৩০হাজার ৫শত ৮১ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধারে তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭হাজার ৮শত ৩৪ ভোট।

আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার জগ প্রতীক নিয়ে ৭হাজার ৪শত ৩২ ভোট, আরিফ রেজা চামচ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৫শত ২০ ভোট, স্বতন্ত্র মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে ৫শত ৩৫ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৩শত ৪৫ ভোট ও ক্যারমবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১শত ৯৪ ভোট।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলেন যারা, ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৬হাজার ৩শত ৯৪ ভোট পেয়ে টানা ২য় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মোছাঃ হুসনে আরা নাজমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নুসরাত জাহান টুম্পা চমশা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৭শত ৬৫ ভোট। ৪,৫,ও ৬ নং ওয়ার্ডে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথম বারের মতো সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে ৫হাজার ৫শত ১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোছাঃ স্মৃতি পারভীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী রেহানা পারভীন রুমি চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪৫২ ভোট।

৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে ৫হাজার ৪শত ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নুরজাহান বলপেন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩হাজার ৯শত ৮৯ ভোট। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলেন যারা, ১নং ওয়ার্ড নজরুল ইসলাম ব্রীজ প্রতীক নিয়ে ৩৮০৮ ভোট পেয়ে ৫ম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সোহেল রানা উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৩৯ ভোট। রবিউল ইসলাম ট্যাবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৪৫০, ফেরদৌস আহমেদ পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ৩৮৮, মোতালেব হেসেন পানির বোতল নিয়ে ৩৯, সারোয়ার হোসেন মোরাদ ডালিম প্রতীক নিয়ে ২৯ ভোট পেয়েছেন।

২নং ওয়ার্ড মোঃ হাবিবুর রহমান টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ১৬০৬ ভোট পেয়ে টানা ২য় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম ছলু ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪৮৭ ভোট। মোঃ দিদারুজ্জামান উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৩১ ভোট, মোজাম্মেল হক পান্জাবী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ ভোট, মাজহারুল ইসলাম ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৬ ভোট, জাহাঙ্গীর হোসেন সন্জু পানির বোতল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫১ ভোট।

৩নং ওয়ার্ড রহমতউল্লাহ পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ১৩৮০ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন রহমতউল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হুমায়ুন ফরিদ উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৩৩ ভোট। জাকির হোসেন ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০১৬ ভোট, শামসুদ্দোহা পান্জাবী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৮৬ভোট, রহুল আমীন গাজর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫২ ভোট, হোসেন আলী ফকির ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬ ভোট।

৪নং ওয়ার্ড নাছিরুল আলম নাহিদ পান্জারী প্রতীক নিয়ে ১৫৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ফরহাদুজ্জামান টেবিলল্যাম্প প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৯৭ ভোট। বাদশা মিয়া ঢেঁড়শ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১২৪ ভোট, তারিক বিন ফারুক ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১২ ভোট, হারুন জিলানী পানির বোতল নিয়ে পেয়েছেন ৪০৬ ভোট, মানিক মিয়া ফাইল ক্যাবিনেট প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫৩ ভোট, আক্তারুজ্জামান সন্চয় উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২৪ভোট, আল আমীন মিয়া প্রজা ব্রীজ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৯ ভোট, ইউসুফুর রহমান তালুকদার খোকন গাজর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২৩ ভোট, মাহবুব আলম ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ ভোট।

৫নং ওয়ার্ড আঃ ছাত্তার উটপাখি প্রতীক নিয়ে ১৫৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৪২ ভোট, লিয়াকত আলী টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৩২ ভোট, রাশেদুল ইসলাম রানা পানির প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৮০ ভোট, আকাশুর রহমান চন্চল পান্জাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮০ ভোট, সামশুল হক গাঁজর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ ভোট।

৬নং ওয়ার্ড মোঃ কামাল হোসেন উটপাখি প্রতীক নিয়ে ২৭৬৪ ভোট পেয়ে ১ম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পৌরসভার প্যানেল মেয়র -১ আতিউর রহমান মিতুল গাজর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৫৪ ভোট, সেলিম হাসান পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২০ ভোট, আশরাফুল আলম ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ ভোট।

৭নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৩৩১৬ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধারে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নাজমুল হুদা জালাল উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৬৬ ভোট, মোহাম্মদ আল-আমীন ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫৬ ভোট, এবি এম ফখরুল আলম সুজন পান্জাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮১ ভোট।

৮নং ওয়ার্ডে বোতল প্রতীক নিয়ে ২হাজার ৮শ ১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ বাবুল মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তৌহিদুর রহমান বিদ্যুৎ উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ৮শ ১৫ ভোট। ৯নং ওয়ার্ড পান্জাবি প্রতীক নিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী গেন্দাকুল ২হাজার ৩শত ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ফখরুল আলম বোতল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮৮৮ ভোট।

উল্লেখ্য, শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন। এর মধ্যে ৫০২৩২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্ধী ৭ মেয়র প্রার্থী ও ৪৯জন কাউন্সিলর ও ১৮জন সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনী মাঠে শেরপুর পৌরসভায় ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের জন্য তিন টিম র‍্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।শেরপুর পৌরসভায় ৩৫ টি কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে প্রথমবারের মত ইভিএম মেশিনে ভোট চলে একটানা বিকাল চারটা পর্যন্ত।

error: Content is protected !!