হোম » প্রধান সংবাদ » বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা সংঘাত এড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চান ভোটাররা

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা সংঘাত এড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চান ভোটাররা

আবু জাহের, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ আগামী ১৬ জানুয়ারি শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোট গ্রহণ হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যামে। পৌরসভার মাঠে ঘাটে বইছে নির্বাচনী আমেজ। উৎফুল্ল ও উজ্জীবিত ভোটাররা। বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো বলে দাবী করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শেষদিকে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা।

 

পৌর নির্বাচনে বড় দুই দলের প্রার্থী সহ ৪ জন ময়ের পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। শেরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, ১৮৭৬ সালের ১ এপ্রিলে ১০.৩৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় শেরপুর পৌরসভা। এবছর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫৪ জন। তারমধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৪১৫, মহিলা ১২ হাজার ৩৩৯। ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়ার স্বাধীন কুমার কুন্ডু, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জানে আলম খোকা জগ এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতা ইমরান কামাল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।

 

এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে তিনটি ওয়ার্ডে ১০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর (পুরুষ) ৯টি পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। ভোটাররা জানান, এখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জানে আলম খোকার মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্ব›দ্বীতা হতে পারে। বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। শহরের অলিগলিসহ চায়ের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরও পোস্টার। চলছে উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, মিছিল, গণসংযোগ ও মাইকিং প্রচারণা।

 

নৌকা প্রতীকে ভোট প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া নৌকা মার্কার ৪টি অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ অবস্থায় সব ধরণেরর সংঘাত এড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায় সাধারণ ভোটাররা। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের
নিয়ন্ত্রণে।

error: Content is protected !!