হোম » প্রধান সংবাদ » উল্লাপাড়ায় ফসলী জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

উল্লাপাড়ায় ফসলী জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের ঝবজপিয়া ব্রিজ থেকে ঘিয়ালা পর্যন্ত ১ কিঃ মিঃ রাস্তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোহান এন্টারপ্রাইজ অনিয়ম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘিয়ালা গ্রামের জনসাধারনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রাস্তা পাকাকরণের। বর্তমানে রাস্তা নির্মাণ হলেও একেবারে রাস্তা লাগোয়া ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে রাস্তার উপরের অংশে মাটি ফেলা হচ্ছে। ফলে রাস্তাটির স্থায়িত্ব কতদিন থাকবে তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিমার্ণে ব্যয় হচ্ছে ৮৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

সরেজমিনে শনিবার (৯ জানুয়ারি) ঘিয়ালা গ্রামের কৃষক শফিজ উদ্দিন, শুকুর আলী, শিহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই রাস্তা নির্মাণ করাতে তারা আনন্দিত। কিন্তু রাস্তার দুথপাশে তাদের সরিষা মাঠের জমির কিছু অংশ করে জোড়পূর্বক ঠিকাদার এলাকার হাজী আক্তার আলী ও হারান আলীর সহযোগিতায় মাটি কেটে রাস্তার উপরে ফেলা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পাশাপাশি রাস্তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এসব কৃষক আরো অভিযোগ করেন, মোটা অংকের টাকা ব্যয়ে বরাদ্দ থাকা সত্তে¡ও ঠিাকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করছেন। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

এ ব্যাপারে পূর্ণিমাগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন সরকার জানান, নিম্ন মানের ইট, খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ভালো মানের নিমার্ন সামগ্রী ফেলা হচ্ছে রাস্তায়। স্থানীয় কৃষকদের ফসলী জমি কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এটা নিয়ম নেই। মাটির প্রয়োজন হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অন্য জায়গা থেকে মাটির ব্যবস্থা করবেন।

এ বিষয়ে এলজিইডি উল্লাপাড়া উপজেলা অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তায় মাটি দেবার জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৩৫ ঘনফুট মাটির জন্য মাত্র ২০৬ টাকা বরাদ্দ। এদিয়ে কোন ঠিকাদারের পক্ষে যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট সম্ভব নয়। তবে নিম্নমানের সামগ্রীগুলো অপসারন করে ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহারের উ˜েদ্যাগ নেওয়া হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোহান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী বুদ্ধিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার নির্মিয়মান রাস্তার দুথপাশে কৃষকের ফসলী জমির মাটি জোর করে কেটে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এছাড়া রাস্তায় নিম্নমানের নিমার্ণ সামগ্রী দেওয়ার বিষয়ে বুদ্ধিন বলেন, ভুলক্রমে কিছু খারাপ খোকা ও ইট সেখানে ফেলা হলেও সেগুলো সরিয়ে নিয়ে ভালো মানের খোয়া ও ইটসহ আনুসঙ্গিক সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।

error: Content is protected !!