হোম » প্রধান সংবাদ » ভৈরবে কয়লা শ্রমিক হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার, আদালতে সীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি

ভৈরবে কয়লা শ্রমিক হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার, আদালতে সীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি

এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ  ভৈরবে দূর্জয় মোড় এলাকায় কয়লা শ্রমিক এহসানুল হক (২২) হত্যার ঘটনায়  প্রধান আসামী ইমন (২৩) কে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার  রাতে পৌর এলাকার চন্ডিবের গ্রাম থেকে জনগণের সহায়তায় তাকে আটক করে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করে তাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরের দিন বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে, আদালতে এহসানুল হক কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ। আটককৃত ইমন ভৈরবপুর উত্তরপাড়া আড়াই বেপারী বাড়ির মৃত মাসুদ মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।
 উল্লেখ্য যে, গত ২৮ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময়  ভৈরবে দূর্জয় মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কয়লা শ্রমিক এহসানুল হক (২২) নিহত হয়। উক্ত ঘটনায় গত ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে তার চাচা আজিজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। আরোও উল্লেখ থাকে যে, ঘটনার সময় দুষ্কৃতকারীদের  ছুরিকাঘাতে কয়লা শ্রমিক এহসানুল ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তার বাড়ী সুনামগঞ্জের বিষম্ভপুর উপজেলার বাঘগাঁও গ্রামে। সে ভৈরবে মেঘনা ফেরিঘাটে শ্রমিকের কাজ করত।
ঘটনার দিন সে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য  ভৈরব বাসষ্টান্ড আসলে দুষ্কৃতি কারীদের কবলে পড়ে ছুরির আঘাতে নিহত হয়। তারপর ভৈরব ফেরিঘাটের কযেক হাজার শ্রমিক থানায় অবস্থান করে খুনীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবী জানায়। ঘটনার পর থেকেই দুস্কৃতিকারীদের খুঁজে বেড়াচ্ছিল আইন প্রনয়ণ কারী সংস্থার লোকজন।  অবশেষে ৩০ ডিসেম্বর বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জনগণের সহায়তায় ইমন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ভৈরব থানা পুলিশ। অপর জন এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় ঐদিন রাতে ছিনতাইকারী  চক্রের আরো ৩ সদস্য কে রাতের বেলা অভিযান করে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো শাহালম, জুনাইদ ও জুয়েল। কিন্তু তারা খুনের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকার কারনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাঁজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এস আই জাহাঙ্গীর।  এদিকে এহসানুল হক হত্যার গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী ইমন গত ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে  ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট মোঃ রফিকুল বারী’র’ আদালতে সে দোষ স্বীকার করে। জবানবন্দিতে সে জানায় শ্রমিক এহসানুলকে তার মারার ইচ্ছা ছিলনা। এহসানুলের  সঙ্গীয় বন্ধুকে ধরে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে মারতে আসে। এসময় আমি ও আমার সহকর্মী   তাকে আহত করতে  ছুরিকাঘাত করি। এসময় ছুরিকাঘাতে শ্রমিক এহসানুল মারা যায়।
 এবিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহিন জানান, ইমন ভৈরবের চিহ্নিত সন্ত্রাস। তার বিরুদ্ধে থানায় ৫ টি  মামলা রয়েছে। বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরেে দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। এসময় তিনি আরো বলেন যে, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও রাহাজানি ইত্যাদি অপরাধ মূলক কার্মকান্ড রোধকল্পে আমাদের টহল পুলিশের  ডিউটি  আরো জোড়দার করা হয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রোধে প্রয়োজনে আইনগত ভাবে গুলি করা হবে বলেও জানান তিনি।
error: Content is protected !!