হোম » প্রধান সংবাদ » লালমনিরহাটে সরিষা ক্ষেতে মৌচাষ

লালমনিরহাটে সরিষা ক্ষেতে মৌচাষ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: হলুদে হলুদে সৌন্দর্যের সমারোহ লালমনিরহাট। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বিস্তৃত দিগন্ত মাঠ জুড়ে আবাদ হয়েছে সরিষা চাষ। আর এ সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মধুচাষিরা।

জানা যায়, সরিষার চাষ একটি লাভজনক পেশা। একদিকে যেমন সরিষার পরাগায়ন বাড়ায়, তেমনি সরিষার ১০ভাগ ফলন বাড়ায়। এদিকে, খাটি মধু কেনার জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও মধু কিনতে লোকজন আসছে। তারা সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির সাহায্যে মধু সংগ্রহের জন্য চাকের বাক্স ফেলে রাখেন। সেই বাক্সে ১০-১৫টি পর্যন্ত মোম দিয়ে চাকের ফ্রেম রাখা হয়।

বাক্সে একটি রাণী মৌমাছি রাখা হয়। রাণী মৌমাছির কারণে সরিষা ক্ষেতের পাশে চাকের বাক্স যেখানেই রাখা হোক না কেন ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। চাকের বাক্সের মধ্যখানের নিচে ছিন্দ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। জমি থেকে মধু সংগ্রহের পর মৌমাছিরা চাকের বাক্সে আসে। সরিষা ফুল থেকে মৌমাছিরা নেকটার (পাতলা আবরন) চাকের বাক্সে নিয়ে আসে।

মৌমাছির তাপ ও বাতাসের মাধ্যমে ৬-৭দিন পর তা গাঢ় হয়ে মধুতে পরিণত হয়। এরপর মধুচাষিরা চাকের বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের মাধ্যমে মধু উৎপাদন করেন। এবার সরিষায় ফুল ভালো ধরেছে। ফুল বাড়ার কারণে মধুও বেশি পাওয়ার আশা করছেন তারা। যতোদিন পর্যন্ত সরিষায় ফুল থাকবে-ততোদিন পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করবেন বলে মধুচাষিরা জানালেন। জমি থেকে মধু সংগ্রহ করায় সরিষা চাষিদের কোন টাকা দিতে হয় না।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় ২হাজার ১শত ৫০হেক্টর জমিতে সরিষা অাবাদ হয়েছে। তবে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

error: Content is protected !!