এম.এ রাশেদ ধনুট,প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে টাকা ছাড়া সেলাই হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে সামান্য কাঁটা, ফাটা রোগী গেলেই তাদের আত্মীয়স্বজনের নিকট থেকে জরুরী বিভাগের ওয়ার্ড বয়েরা জোরপুর্বক টাকা আদায় করেন। শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভীমজানি গ্রামের দরিদ্র মাছ বিক্রেতা রণজিত জানান, তার সাত বছরের ছেলে সনজিত খেলতে গিয়ে পড়ে যায়।
এতে তার ডান হাতে জখম হলে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। তিনি সেলাইয়ের জন্য শেরপুর উপজেলা হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে গেলে জরুরী বিভাগের ওয়ার্ডবয় বিক্রম ও মতিন সেলাইয়ের জন্য ৭শ টাকা দাবী করেন। সেলাই ব্যান্ডেজ শেষে নিরুপায় হয়ে ৫শ টাকা দিতে বাধ্য হই। অভিযোগ পাবার পর হাসপাতালে কথিত ওয়ার্ডবয় বিক্রম ও মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তারা শেরপুর হাসপাতালে কোন পদে চাকুরী করেন জানতে চাইলে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান লিংকন জানান, জরুরী বিভাগে রোগীদের সেবা দিতে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নাই। কিন্তু কিছু কিছু ওয়ার্ডবয় রোগীদের ভুল বুঝিয়ে টাকা নেয়। তারা হাসপাতালের ষ্টাফ না হলেও আমরা কিছুতেই তাদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.মোকছেদা খাতুন জানান, সাধারণ রোগীদের নিকট থেকে এভাবে টাকা নেয়া অন্যায়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন
গাইবান্ধায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ : ২ চালকসহ আহত ১০
মুসলিমদের ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
বগুড়া গাবতলীতে প্রিসাইডিং অফিসারসহ গ্রেফতার দুই