হোম » প্রধান সংবাদ » লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি,১৪ ইউনিয়ন প্লাবিত, বন্ধ লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের ফেরী চলাচল

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি,১৪ ইউনিয়ন প্লাবিত, বন্ধ লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের ফেরী চলাচল

আখতার হোসাইন খান,রায়পুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর,রায়পুর মেঘনা নদীর পানি আকস্মিক অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে লক্ষ্মীপুরের রামগতি কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপে বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট ফেরী ঘাটের সড়ক ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের ফেরী চলাচল।

পানি বন্দি হয়ে দুভোর্গে চার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে অন্তত ৫ হাজার হেক্টর আমনের আবাদ ও বীজতলা।

স্থানীয়রা জানায়, বন্যার পানির চাপে হঠাৎ করে ১৪টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলো হচ্ছে রামগতির উপজেলার বড়খেরী,চরআলগী,চররমিজ,চরআবদুল্লাহ,চরআলেকজান্ডার। কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট,চরকালকিনি,চরফলকন,চরলরেন্স,চরমার্টিন। রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের। সদর উপজেলার চরমনী মোহন।

ফেরীঘাটের সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দু-পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় কয়েশ পণ্যবাহী ট্রাক।

স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দ হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

সড়ক ভেঙ্গে যাওয়া অনিদিষ্টকালের জন্য ফেরী চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়। তবে কবে নাগাদ সড়ক ঠিক করা হবে,সেটা অনিশ্চিত বলে জানান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। তারপরও দ্রুত জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।
রায়পুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও ইব্রাহিম বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনার পানি ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে কমে যাবে।।

error: Content is protected !!