হোম » প্রধান সংবাদ » হরিপুরে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ- ডাঃ মুহাম্মদ মনিরুল হক খান

হরিপুরে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ- ডাঃ মুহাম্মদ মনিরুল হক খান

জে.ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও (প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কালাজ্বর আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে সুস্থ আছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মনিরুল হক খান। কালাজ্বর বিষয়ে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে ১দিনের অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জিযাউল হাসান মুকুল, উপজেলা নিবার্হী অফিসার আব্দুল করিমসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যাক্তিবর্গ।

উক্ত সভায় ডাঃ মুহাম্মদ মনিরুল হক খান বলেন, কালাজ্বর কালাজ্বর (ঠরংপবৎধষ ষবরংযসধহরধংরং) বা ইষধপশ ভবাবৎ একটি পরজীবী ঘটিত দীর্ঘস্থায়ী ও প্রাণঘাতী রোগ যা লেইসম্যানিয়া ডনোভানী (খবরংযসধহরধ ফড়হড়াধহর) নামক এক প্রকার প্রোটোজোয়া পরজীবীর সংক্রমনের মাধ্যমে ছাড়ায় এবং বেলেমাছির কামড়ের সাহায্যে এটি বিস্তার লাভ করে তাকে কালাজ্বর বলে এবং সেই কালাজ্বরে হরিপুর উপজেলায় একজন অধ্যক্ষসহ ৫জন আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি গেদুড়া ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া এলাকায় ও আমগাঁও জামুনে ১জন এবং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের এক অধ্যক্ষ রয়েছেন।

তাঁরা আক্রান্ত হওয়ার পর পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে বর্তমান সুস্থ আছে বলে জানান সুনিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সইদুর রহমান। আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মনিরুল হক খান বলেন, প্রথমে এটি মানুষের রক্তের ম্যাক্রোফেই দ্বারা বাহিত হয়ে অস্ত্রে প্রবেশ করে এবং পরিবর্তীতে লিভার, প্লীহা ও অস্থিমজ্জা আক্রান্ত করে বংশ বৃদ্ধি করে। এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ম্যালেরিয়ার পরে এটিই পরজীবী ঘটিত রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। সময়মতো এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে কালাজ্বরে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তিনি আরো বলেন, কালাজ্বর সাধারনত বেলে মাছির কামড়ে ছড়ায়! বেলে মাছি ঘর এবং ঘরের আশপাশের ফাটলে বিশেষ করে স্যাঁতস্যাঁতে এবং আর্দ্র মেঝে, দেয়াল, কাঠের আসবাবপত্রের ফাটল, উইপোকার গর্তে, ভাঙ্গা ইট পাথরের নিচে এবং ঘরের আশপাশের ঝোঁপজাড়ের ভিতর দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকে। এরা সাধারনত সন্ধ্যা থেকে ভোঁর পর্যন্ত সময়ে বেশি কামড়ে থাকে। কেবল মাত্র স্ত্রী জাতীয় বেলে মাছি এ রোগ ছড়ায়।

স্ত্রী জাতীয় বেলে মাছি এদের ডিমের পরিপক্বতার জন্য পশু, পাখী এবং মানুষের রক্ত গ্রহন করে থাকে। বাংলাদেশেই এই রোগের সুচিকিৎসা আছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ ও নিয়মভাবে ঔষুধ সেবনে কালাজ্বর নির্মূল করা সম্ভব। তাই আমাদের সবাইকে সচেতনভাবে বসবাস এবং চলাফেরা করতে হবে।

error: Content is protected !!