হোম » প্রধান সংবাদ » চট্টগ্রামে গরু বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তায়  রয়েছে  খামারিরা

চট্টগ্রামে গরু বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তায়  রয়েছে  খামারিরা

সাঈদুর রহমান চৌধুরী,চট্টগ্রামঃ বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে   মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রতিটি উৎসবেও।  তাই এভাবের কোরবানির ঈদে করোনার প্রভাব পড়ার আশংকায় দুশ্চিন্তা ও হতাশা মধ্যে রয়েছে  চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার পশু খামারি।চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে,  এবার চট্টগ্রামে ছোট ও বড় মিলে প্রায় ৫০ হাজার খামারি কোরবানির জন্য পশু মোটাতাজা করেছেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, পটিয়া, চন্দনাইশ,সাতকানিয়া,মিরসরাই, রাউজান, রাংগুনিয়া সহ বিভিন্ন   উপজেলার খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ায়  মানুষের কোরবানির সক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। এতে কোরবানি পশুর চাহিদা কমে যাওয়ায় আশংকায় অনিশ্চয়তা ভুগছেন তারা।এতে   আর্থিক ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছ।
খামারিরা আরো জানায়, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির কয়েক মাস আগে থেকেই চট্টগ্রামসহ  দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু সংগ্রহ করে খামারে মোটাতাজা করে কোরবানির বাজারে বিক্রি করে থাকেন তারা।তবে এ বছর করোনার কারণে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় পশুর প্রকৃত দাম পাবো কিনা সেই অনিশ্চয়তায় রয়েছি।এক্ষেত্রে যদি  কম দামে গরু বিক্রি হয় বা  অবিক্রিত থেকে যায় তাহলে আমরা চরম আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে যাবো।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক গণমানুষের আওয়াজকে বলেন, এবার চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার।চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে পশু রয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার।যে পরিমাণ কোরবানি পশু ঘাটতি আছে সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পশু সেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসা শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারন অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের কোরবানির ঈদ একটু ব্যতিক্রম।তবে আমরা আশা করছি ক্রেতা- বিক্রেতা সহ  সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি হাটে  আসবে এবংং তাদের চাহিদা অনুযায়ী পশু কেনাবেচা করবেন।সেইসাথে খামারিরা কোরবানি গরু ও অন্যান্য কোরবানি   পশুর ন্যায্য মূল্য পাবেন।
error: Content is protected !!