হোম » প্রধান সংবাদ » বরগুনায় চাহিদার থেকে গরু বেশি বিক্রয় কম হতাশ খামারিরা ।

বরগুনায় চাহিদার থেকে গরু বেশি বিক্রয় কম হতাশ খামারিরা ।

বরগুনা প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র ৮ দিন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে ভালো লাভের আশায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা গবাদী পশু নিয়ে আমতলী বাজারে এসেছে। বাজারে গবাদী পশুতে সয়লাব। কিন্তু ক্রেতা শুন্য আমতলী পশুর হাট। বুধবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত কোন কোরবানীর পশু বিক্রি হয়নি। ক্রেতা শুন্য থাকায় হতাশ খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে চরম লোকসানের মুখে খামারী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার।
আমতলী প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় কোরবানীর জন্য ৩ হাজার ২’শ ৭৯ টি গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে এ উপজেলার ৪ হাজার ২’শ ৭৬ টি পশু আছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮’শ ২৫ টি গরু, ৮৪ টি মহিষ,১ হাজার ৩ ’শ ১৮ টি ছাগল ও ২৮ টি ভেড়া। চাহিদার তুলনায় ৯’শ৯৭ টি পশু বেশী রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৫’শ ৮২ টি। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশায় খামারিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খুব যত্ন সহকারে গবাদি পশুর দেখভাল করছেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে কোরবানী কম দেওয়া ও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশী থাকায় বাজারে পশুর  দাম অনেক কমে গেছে। অনেক খামারী বাজারের অবস্থা দেখে মহা দুচিন্তায় পরেছেন। বাজারে গবাদী পশুতে সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রেতা শুন্য আমতলী পশুর হাট। বুধবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত কোন কোরবানীর পশু বিক্রি হয়নি। আমতলী গরুর বাজার খাজনা আদায়কারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। দাম কম থাকায় হতাশ হয়ে পরেছেন খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে চরম লোকসানের মুখে খামারী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার।
বালিয়াতলী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, গরুর বাজারে ক্রেতা শুন্য। আটটি গরু নিয়ে বাজারে এসেছি একটিও বিক্রি করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে গরুর দাম অনেক কম।  ক্রেতা একে এম জিল্লুর রহমান বলেন, বাজারে গরুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম। মাঝারি সাইজের একটি গরু ৪০ হাজার টাকা বলেছি।
ব্যবসায়ী মানিক চৌকিদার বলেন, এক’শ কেজি ওজনের একটি গরু ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত বছর ছিল অন্তত ৬০-৬৫ হাজার টাকা। এ বছর ব্যবসায়ীদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।
আমতলী গাজীপুর বন্দরের গরু ব্যবসায়ী আলহাজ্ব  মাহবুবুর রহমান হাওলাদার বলেন, কোরবানী উপলক্ষে এখন পর্যন্ত দুইটি গরু বিক্রি করেছি। তাতে কোন লাভ হয়নি। খামারের ৩ টি গরু নিয়ে দুচিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, করোনার কারনে বাজারে প্রায় ক্রেতা শুন্য। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী গবাদী পশুর হাট পরিচালনাকারী মোঃ আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, বুধবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কোরবানীর একটি গরুও বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরুতে বাজার সয়লাব। এতে আমাদের অনেক লোকসান হবে।
আমতলী গরু হাটের ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এলাকার পশুতে কোরবানীর চাহিদা পূরন হয়ে অনেক পশু অবিক্রিত থেকে যাবে। করোনার কারনে এ বছর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানী উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌছতে কোন সমস্যা না হয়। তিনি আরো বলেন, জাল টাকা সনাক্তকরন মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ বাজারে কাজ করছে।

Loading

error: Content is protected !!