হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করায় দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করায় দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কর্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট শহরের বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করায় তাৎক্ষনিক শহরের সকল প্রকার দোকান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা দিয়েছে শহর দোকান মালিক সমিতি।

সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতির নেতারা জানান, যখন তখন জেলা প্রশাসকের ম্যাজিস্ট্রেটগণ শহরের দোকানগুলোতে হয়রানিমূলক কার্যক্রম এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন। এই ভ্রাম্যমান আদতালত বন্ধ করার দাবীতে সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতি ও কর্মচারিরা বিক্ষোভ করেন। রবিবার বিকেল থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের কাপড়ের দোকান, চাউলের দোকান, মোনহারীর দোকান, কসমেটিক্স দোকান, কাচামালের দোকান, নিউমার্কেটের সকল দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন।

সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, আমাদের দেখভাল করার জন্য তাদের নিয়মে যা যা নিয়ম আছেন সব নিয়মকানুন মেনে চলতেছি কিন্তু হঠাৎ করে বেশ কিছুদিন ধরে যখন তখন আমাদের শহরের দোকানে এসে অভিযান চালিয়ে অহেতুক জরিমানা করতেছে, আমরা জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছি কোন প্রকার অবৈধ মালামাল বিক্রি করিনা। আমরা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতেছি কিন্তু আমাদের যুক্তিহীন ভাবে বার বার জরিমানা করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতেছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

এরি ধারাবাহিকতায় শনিবার ও রবিবার দুই দিনে ১০/১৫টি দোকানে জরিমানা করে ও ব্যবসায়ীদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। এজন্য আমরা সিরাজগঞ্জ শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করছি আজ থেকে। পরবর্তিতে কোন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শহরের সকল দোকান পাট বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, এরিমধ্যে শহরের মদিনা স্টোরে ৩০হাজার টাকা, আলমদিনা স্টোরে ৩০হাজার টাকা, মদিনা স্টোরে ৩০ হাজার টাকা, গিভ ওয়াল্ড ৩০ হাজার টাকা, প্রিয়জন ২হাজার টাকা, জান্নাতি স্টোরে ২হাজার টাকা, মেরাজ স্টোরে ১হাজার টাকা, রাজকন্যা বিউটি পার্লার ১হাজার টাকা, আলা উদ্দিনে ৫হাজার টাকা, বড়বাজারের পান ব্যবাসায়ীর ১হাজার টাকা ও বড়বাজার হোটেলে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক ফেরদৌস রবিন বলেন, আমরা জণগনের কথা চিন্তা করে দোকান খোলা রাখি। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ যখন তখন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আমাদের হয়রানি করবেন এটা আমরা মেনে নিতে পারবোনা। প্রশাসন যতক্ষন না আমাদের এই হয়রানি বন্ধ করার আশ্বাস দিবে ততক্ষণ দোকান বন্ধ থাকবে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে মো: তোফাজ্জল হোসেন জানান, শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে আমি শুনেছি। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশসকের ম্যাজিস্ট্রট নিয়ম অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। নিয়মের বাহিরে কেউ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে পারেনা। কেউ এমন কাজ করেনি। একটি মহল এই বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহ করছে।

error: Content is protected !!