হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জের যমুনার পানি বেড়েই চলেছে

সিরাজগঞ্জের যমুনার পানি বেড়েই চলেছে

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। এতে প্রায় সোয়া লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফলে আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইটি পয়েন্টেই দ্বিতীয়বারের মতো বিপৎসীমা
অতিক্রম করেছে যমুনা নদীর পানি। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৮০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার (১৩.৩৫ মিটার) ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত।

অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার (১৫.২৫ মিটার) ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েই চলেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনায় পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বেড়েছে।

 

একইসঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের মানুষেরা দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ার কারণে এসব এলাকার মানুষের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়ি-ঘর, শিক্ষা ও ধর্মী প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি।

বাড়ি-ঘর ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কিংবা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার যমুনা নদী অধ্যুষিত ৩৫টি ইউনিয়নে ২৫ হাজার পরিবারের প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ইতোমধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ২৮০টি ঘর- বাড়ি। ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ। তিনি আরও বলেন, প্রথম দফা বন্যাকবলিতদের জন্য ১২৫ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায়ও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

Loading

error: Content is protected !!