হোম » প্রধান সংবাদ » মাদক ব্যাবসায়ী মুসার কারণে সিরাজগঞ্জের ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংর্ঘষ

মাদক ব্যাবসায়ী মুসার কারণে সিরাজগঞ্জের ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংর্ঘষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : ৭ জুলাই নিহত ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদ মাহফিলে পৌর যুবলীগের নামধারী মাদক ব্যবসায়ী আবু মুসার কারণে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে গত (৭ জুলাই) বিবৃতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহ সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারি হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয় গত (২৬ জুন) গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় ৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।

প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের হত্যার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ ৩ দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমার সভাপতি করার কথা ছিলো।

সেই মোতাবেক আমিসহ জেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলাগের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হলে পৌর যুবলীগের নামধারী মাদক ব্যবসায়ী আবু মুসার নেতৃত্বে একদল হটকারী সন্ত্রাসীরা পিস্তল ও অন্যান্য আগ্নেয়ান্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে। পরবর্ত্তিতে ওই হটকারী সন্ত্রাসীরা শহরের বেশ কিছু দোকান ভাংচুর করে এবং আমাকে ও জেলা ছাত্রলীগের প্রায় ৩০/৪০ জনকে মারপিট করে।

এসময় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক গুরুত্ব আহত হয়। পরে তাকে দ্রæত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই নিহত ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে অন্তত: ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। টানা দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্র“পে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যুক্ত হন। এঘটনায় ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি ৪টি মামলা হয়েছে।

৪টি মামলায় এ পর্যন্ত ২৫জন গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলহাজতে রয়েছে। এছাড়াও এই সংঘর্ষের কারণে বুধবার থেকে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় বন্ধ এবং আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে ২৬ জুন জাতীয় নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ৯ দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর ৫ জুলাই সকালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে ২৭ জুন জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বর্তমানে ৩ জন জেলহাজতে, একজন জামিনে এবং প্রধান আসামী পলাতক রয়েছে। ঘটনার পর ২৮ জুন মামলার আসামী জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নিহত এনামুল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহ সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয় ২৬ জুন ২০২০ গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় গত ৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের হত্যার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ ৩দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষনা করে।
৭ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমার সভাপত্তিত করার কথা ছিলো।
সেই মোতাবেক আমিসহ জেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলাগের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হলে পৌর যুবলীগের নামধারী মাদক ব্যবসায়ী আবু মুসার নেতৃত্বে একদল হটকারী সন্ত্রাসীরা পিস্তল ও অন্যান্য আগ্নেয়ান্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে। পরবর্ত্তিতে ওই হটকারী সন্ত্রাসীরা শহরের কতিপয় দোকান ভাংচুর করে।

সেই মোতাবেক আমি সহ জেলা ছাত্রলীগ, পৌরছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলাগের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হলে পৌর যুবলীগের নামধারী প্রসিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী আবু মুসার নেতৃত্বে একদল হটকারী সন্ত্রাসী পিস্তল ও অন্যান্য আগ্নেয়ান্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে।

পরবত্তিতে ওই হটকারী সন্ত্রাসীরা শহরের কতিপয় দোকান ভাংচুর করে। শহরে সশস্ত্র মহড়া দেয়, শহরে এক অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে।

error: Content is protected !!