হোম » শিরোনাম » নাইকো মামলা: সাক্ষ্য দিতে কেরানীগঞ্জে কানাডিয়ান দুই পুলিশ

নাইকো মামলা: সাক্ষ্য দিতে কেরানীগঞ্জে কানাডিয়ান দুই পুলিশ

আওয়াজ অনলাইন : নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দিতে কেরানীগঞ্জ অস্থায়ী আদালতে কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্য।

সোমবার বেলা ১১ টায় কেরানীগঞ্জ অস্থায়ী আদালতে পৈৗঁছান কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।

জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে তারা সাক্ষ্য দেবেন। তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। এরপর তাদের জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে তারা ঢাকায় আসেন। রোববার তারা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর তাদের সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেন ঢাকার বিশেষ আদালত।

উল্লেখ, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

error: Content is protected !!