হোম » শিরোনাম » আজ এমপিদের শপথ, কাল মন্ত্রীদের : মন্ত্রী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে গুরুত্ব

আজ এমপিদের শপথ, কাল মন্ত্রীদের : মন্ত্রী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে গুরুত্ব

আওয়াজ অনলাইন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একচেটিয়া জয়ের পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা (এমপি) শপথ নেবেন। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের বিশেষ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই জানিয়েছেন।

তাঁরা বলছেন, অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং অপেক্ষাকৃত ভালো ভাবমূর্তির নেতাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখও আসবে। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন বা পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে কারা বাদ পড়ছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেনি।

তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আভাস দিয়েছেন, পুরনো মন্ত্রীদের কয়েকজন এবার বাদ পড়ছেন।

বিশেষ করে যেসব মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং মন্ত্রণালয় পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি, সেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নতুন মন্ত্রিসভায় নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জানা গেছে, সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি নিজেও এবার রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে নিজে দ্বাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন, তারপর অন্যদের শপথ পাঠ করাবেন।

শপথগ্রহণ শেষে দুপুরে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সভা ডাকা হলেও তা বাতিল করা হয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির বিরোধী দলের স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করায় গুরুত্ব দিচ্ছেন জাপার সংসদ সদস্যরা। সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে শুরু হবে নতুন সরকার গঠনের পর্ব।

মন্ত্রিপরিষদের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

তাঁদের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই শপথ অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।

নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, আকার কেমন হচ্ছে—এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদের সচিব বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা এখনো নির্দেশনা পাননি।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান হয় বঙ্গভবনে। এ বছরও বঙ্গভবনেই হবে। প্রস্তুতির মধ্যে কী কী বিষয় রয়েছে—এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে শপথ হয়, সেখানকার একটা প্রস্তুতি রয়েছে। অতিথিদের আমন্ত্রণের একটি তালিকা করতে হয়, সেই তালিকা করছি। আমন্ত্রণপত্র করতে হয়, সেটিও আমরা করছি। বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয়, সেটা করেছি। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হবে।’

কারা আসছেন মন্ত্রিসভায়

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের বর্তমান মেয়াদে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে। সংকটকালে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে ওই মন্ত্রণালয়গুলোকে নতুনভাবে সাজাতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাদ দেওয়া হতে পারে। নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী পরাজিত হওয়ায় এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রী মনোনয়ন না পাওয়ায় ছয়টি মন্ত্রণালয়ে নতুন মুখ আসবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক মন্দা সামাল দেওয়া, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্পর্কোন্নয়ন, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতার দিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা। সে বিবেচনায় বেশ কয়েকজন সাবেক সচিবকে মন্ত্রিসভার সদস্য করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এমন আমলাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভাগ ও জেলার সমীকরণে এমন কয়েকজনকে মন্ত্রী করার কথা ভাবা হচ্ছে, যাঁদের জাতীয় পর্যায়ে তেমন পরিচিতি নেই।

একাধিক সূত্র জানায়, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক আমলাদের হাতে যেতে পারে। সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-৫ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদ্যুৎসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্রসচিব সোহরাব হোসেনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কক্ষে বসেন। তিনি নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত নানা কাজে সম্পৃক্ত।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার বিষয়ে জোরালো গুঞ্জন রয়েছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকেও এবার মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকেও মন্ত্রিসভার সদস্য করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। জাতীয় নেতা এম মনসুর আলীর পৌত্র তানভীর শাকিল জয় কিংবা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে।

প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েই মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ। চাঁদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে জোরালো চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেলেরও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেনের ছেলে। ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন। টেকনোক্র্যাট হিসেবে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন।

মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’

আজ শপথ নিচ্ছেন জাপার সংসদ সদস্যরাও

গতকাল বিকেলে জাতীয় পার্টির (জাপা) পক্ষ থেকে জানানো হয়, দশম ও একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ (বুধবার) শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না। জাতীয় পার্টির চেয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বেশি নির্বাচিত হওয়ায় বিরোধী দলের স্বীকৃতি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পরে শপথ নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে জাপার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দলের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় জাপার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপার এমপিরা আজ বুধবারই শপথ নেবেন। নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যকে আজ সকাল ১০টার মধ্যে সংসদ ভবনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিলের কথা জানানো হয়।

শপথগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব পুনর্নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বুধবার (আজ) আমরা শপথ নিচ্ছি। এরপর জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। বিরোধী দলের ব্যাপারে সরকারি দলের করণীয় কিছু নেই। বিরোধী দলের যাঁরা আছেন তাঁরা মিলে সংবিধানের আলোকে সেটা ঠিক করবেন।’

কারা হচ্ছে বিরোধী দল

কার্যপ্রণালী বিধির ২(১)(ট) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতো দল বা অধিসংঘের নেতা।’ সেই হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হলেও দল হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়ায় জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হবে।

এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিরোধী দলের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। আজ শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কী হবে, তাঁরা নিশ্চয়ই জানাবেন। তাঁদের অবস্থান ঘোষণা হওয়ার পরই বিরোধী দল কারা হবে, তা বুঝতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্ররাও জোট গঠন করে বিরোধী দলের স্বীকৃতি চাইতে পারেন।

সংসদে বিরোধী দল কে হচ্ছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘এটা আমি জানি না। দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। কোনো রাজনৈতিক দলকে টিকতে দেওয়া হবে না। কাউকে ঘরে ঢুকিয়ে, কাউকে জেলখানায় ঢুকিয়ে, কাউকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে শেষ করা হবে। আমাদের ভরাডুবি হয়নি। জাতীয় পার্টিকে শেষ করার জন্য এত নাটক সাজানো হয়েছিল।’

জি এম কাদের বলেন, ‘আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে এনে কোরবানি করা হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। দলের মধ্যে সরকারের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়ে দলকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। নিয়ম অনুযায়ী সংসদ নেতা নির্বাচন এবং প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন স্পিকার। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করবেন। আগামী ২৮ বা ৩০ জানুয়ারি এই অধিবেশন আহ্বান করা হতে পারে। অধিবেশনের শুরুতেই নতুন সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে।’

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে, সেই নির্বাচন ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট গতকাল বিকেলে প্রকাশিত হয়। এরপর সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শওকত আকবর স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

error: Content is protected !!