হোম » বিনোদন » চন্দনাইশের চর-বরমাতে ছেয়ে গেছে  কাশফুলের সাদার শুভ্রতায় মন চায় হারিয়ে যাই- অজানায় সাঙ্গু নদীর তীরে 

চন্দনাইশের চর-বরমাতে ছেয়ে গেছে  কাশফুলের সাদার শুভ্রতায় মন চায় হারিয়ে যাই- অজানায় সাঙ্গু নদীর তীরে 

মো.শহীদুল ইসলাম,চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার চর-বরমা এলাকার যত খালের চরে শরতের শেষে ভরে যায় কাশফুল। এই সময় সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্য্য ঘিরে থাকে কাশফুল। উপভোগের অপার অনুষঙ্গ হল কাশফুল। তাই তো চন্দনাইশের চর-বরমা যত খালের চর ঘিরে হাসছে কাশফুল। সবুজের বুকে সাদা মেঘের ছোঁয়া প্রকৃতিতে ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা। মেঘমুক্ত আকাশে শিমুল তুলোর মতো ভেসে চলে সাদা মেঘের খেয়া। চারদিকে সাদা কাশফুলের ওপর ঢেউ খেলে যায় উদাসী হাওয়া। চর-বরমা যত খালের চরে ফুলফোঁটা কাশবন দেখতে কতই না সুন্দর!

কাশফুল মূলত ছন গোত্রীয় এক ধরনের ঘাস। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর কারণ হল নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে।

পরিচর্চা ছাড়া অবলীলায় বেড়ে ওঠা এর সৌন্দর্যের কোনো ঘাটতি থাকে না। শরতের শেষে সাদা ধবধবে কাশফুল সত্যি মনোমুগ্ধকর। এর সৌন্দর্য যে কোনো মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। মেঘমুক্ত আকাশের নিচে কাশফুল মনে অনন্য এক প্রশান্তি জাগিয়ে তুলে। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়।

প্রভাতের স্নিগ্ধ আলো আর গোধূলি লগ্নে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিদের পদচারণায় মুখরিত চন্দনাইশের চর-বরমা এলাকা। কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য দেখতে বেড়াতে আসছে অনেক মানুষ। কাশফুল দেখে জোড়ায় যায় তাদের মন। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা আসে প্রিয়তমাকে নিয়ে, কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। দোল খাওয়া কাশফুলের ছোঁয়ায় মোহিত হচ্ছেন তারা। কেউবা সেই অনুভূতিগুলোকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

ঘুরতে আসা চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সভাপতি   এড.মো. দেলোয়ার হোসেন  বলেন- বিকেলে আবহাওয়া ভালো থাকে, মাঝে মধ্যে আসি এখানে। আমার মেয়েরা কাশবনে ঘুরতে পছন্দ করে। এখানে এসে ছবি তুলে, ভিডিও করে, খুব সুন্দর সময় কাটে আমাদের, এদিকে বেড়াতে আসা দোহাজারী পৌরসভার মেয়র মো.লোকমান হাকিম, হিসাব রক্ষক মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানে এলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যায়। পরিবারসহ এসে আমাদের সবারই খুব ভালো লাগছে। ছবি তুললাম। এখানে দারুণ সময় কাটল! চরের বাসিন্দা ইমরান বলেন , চর-বরমা যত খালের চরে ফুলফোঁটা ‘পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এখানে ফুল ফুটছে। বিকাল হলেই প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে।

error: Content is protected !!