হোম » অর্থনীতি » নাটোরে নলডাঙ্গায় ভেজাল আমন  ধানের বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা

নাটোরে নলডাঙ্গায় ভেজাল আমন  ধানের বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা

মোঃ রাসেল শেখ, নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গায় ভেজাল আমন ধানের বীজ বপন করে সর্বনাশ হয়েছে শতাধিক কৃষককের। বোরো মৌসুমের প্রিমিয়াম সীড স্বর্ণা-৫, ব্রি- ২৯,দিনাজপুর সীড-ব্রি-২৯ ও সম্পারানী জাতের বীজ আমন মৌসুমে রোপন করায় সময়ের আগেই গজিয়েছে ধানের র্শীষ।
এতে অপরিপক্ক হওয়ার আগেই অধিকাংশতেই ধরেছে চিটা।আর ফলন বিপর্য়ায়ে দিশেহারা কৃষকরা। নলডাঙ্গা বাজারের সেলিম বীজ ভান্ডার থেকে বীজ কিনে এ প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাও কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কৃষকরা।ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বেলঘরিয়া,নশরৎপুর,সাহেব ভিটা মাঠের প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে প্রিমিয়াম সীড স্বর্ণা-৫, ব্রি- ২৯,দিনাজপুর সীড-ব্রি-২৯ ও সম্পারানী কোম্পানির বীজ বপন করে প্রতারিত হয়েছে শতাধিক কৃষক।এ মাঠের বপন করা জমিতে দেখা যায় সময়ের আগেই গজিয়েছে ধানের র্শীষ, অপরিপক্ক হওয়ার আগেই অধিকাংশতেই ধরেছে র্শীষে চিটা।
আর ফলন বিপর্য়ায়ে দিশেহারা কৃষকরা এসব কৃষক।এনিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবী করে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।বেলঘরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী বলেন,আমার ৫ বিঘা জমিতে নলডাঙ্গা বাজারের সেলিম বীজ ভান্ডার থেকে প্রিমিয়াম সীড ব্রি-২৯ জাতের ধান রোপন করে প্রতারণার শিকার হয়েছি। ধানের র্শীষ বের হওয়ার পর দেখা যায় অধিকাংশ ধানের র্শীষ চিটা হয়ে মরে যাচ্ছে।এতে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছি। ভুক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলাল শেখ,আব্দুর রহমান,চান্দু শেখ,মাসুদ শেখ,দোলোরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,বাজার থেকে বীজ কিনে জমিতে রোপন করে আমাদের সর্বনাশ হয়েছে।
এ ধান দিয়ে আমাদের পরিবারের সারাবছরের তিনবেলা খাবার জোটে।কিন্ত এখন এসব জমির ধান চিটা হয়ে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।আমরা পরিবার নিয়ে কি খাবো।এ জমিগুলো এসব ধান রোপন,সেচ সার কীটনাশক প্রয়োগ করে বিঘা প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।আমরা ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।কিন্ত এখনও কোন প্রতিকার পাইনি।
অভিযুক্ত নলডাঙ্গা বাজারের সেলিম বীজ ভান্ডারের মালিক আহাদ আলী বলেন,বোরো মৌসুমের প্রিমিয়াম সীড ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা-৫ জাতের বীজ ছিল সেগুলো কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছি।আমি দিনাজপুর থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করি।বীজগুলোর চারা গজিয়েছে ফলন না হলে আমাদের কিছু করার নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,কৃষকরা বাজার থেকে আমন ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি উপজেলা কৃষি বিভাগকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,নলডাঙ্গা উপজেলার কিছু কৃষক বাজার থেকে আমন ধানের বীজ কিনে রোপন করে দেখেন ধানে চিটা হয়েছে।এ বিষয়ে কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।আমরা তদন্ত করে শুরু করেছি, সত্যতা পেলে বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
error: Content is protected !!