হোম » অর্থনীতি » যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য মেলা, স্মার্ট অর্থনীতি এগিয়ে নেবার সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য মেলা, স্মার্ট অর্থনীতি এগিয়ে নেবার সুযোগ

আওয়াজ অনলাইন: দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে। এবারের আসরটি বসছে আসছে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্তের সূচনার পাশাপাশি মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রেও রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। 

নিউইয়র্ক। ব্যবসা-বাণিজ্য, অভিবাসন ও পর্যটনের রাজধানী হিসেবে শহরটির খ্যাতি বিশ্বজোড়া।

ম্যানহাটনে বাঙালিদের অধিক্য দেখে মনে হবে, যেন একখণ্ড বাংলাদেশ। তাই দেশি পণ্য, দেশের মানুষের হাতে ধরেই দখলে নিতে পারে এখানকার বাজার।

এই ধারণা মাথায় রেখে গেল ছয় বছর বাণিজ্য মেলা ও অভিবাসী দিবসের আয়োজন করছেন প্রবাসী বাঙালি ও উদ্যোক্তারা। যাতে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরাও। যথারীতি এবারও বসছে এর সপ্তম আসর। প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, “সুযোগের উন্মোচনে স্মার্ট অর্থনীতি”।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, “কোম্পানিগুলো তাদের প্রডাক্ট ও সার্ভিসের কথা বলতে পারবে। আমেরিকানরা যেসব জিনিস আমাদের দেশে এক্সপোর্ট করে সেগুলো তারা তুলে ধরবে। দুই দেশের যে সংযুক্ত ঘটবে এই ফেয়ারকে কেন্দ্র করে সেটি দুই দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র সম্পর্কে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।”

বাংলাদেশী অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলার আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ব্যবসা যাতে এদেশে এবং বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করা যায় তার জন্য আমাদের উদ্যোগটা বহাল থাকবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইচ্ছুক, এই পথটাকে প্রশস্ত করার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।”

সব মিলিয়ে ১শ’ ২০ টি’র বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। যা, মার্কিন মুল্লুকের মুলধারার ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রাান্ডিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। ‘বি-টু-বি’ সংযোগ দুই দেশের ব্যবসায়িদের সম্পর্ককে আরও নিবিড় করবে, বলছেন আয়োজকরা।

ইউএস-বিডি বিসনেস লিংকের চীফ কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ শাহা বলেন, “বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিউইয়র্কে আসছে এই রেমিটেন্স ফেয়ারে। তাদের উদ্দেশ্য আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি করা।”

নতুন নতুন সেবা, সম্ভাবনা ও অফার নিয়ে হাজির হবে দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট, ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিং, রেমিটেন্স অ্যাপস সার্ভিস, মানি এক্সচেঞ্জ হাউস, রেমিটেন্স চ্যানেল পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলো। এবারের আয়োজনে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, ফ্রুটস এন্ড বেভারেজ, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প, হস্ত শিল্পসহ নানা শিল্প ও সেবা স্থান পাবে।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমরানুল হক বলেন, “এই ধরনের এস্টেটে যত বেশি করে করা যাবে আমাদের পণ্যগুলো তাদের কাছে ততো বেশি পৌঁছে দিতে পারবো।”

গোটা আয়োজনটিই বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার সাথে সাথে, নতুন দেশীয় পণ্যের বাজার, নতুন সুযোগ ও নতুন সম্ভাবনা শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করানোর সুযোগ এনে দেবে স্মার্ট অর্থনীতির বাংলাদেশকে। এমনটাই আশা করছেন আয়োজকরা।

error: Content is protected !!