হোম » অর্থনীতি » নেই পরিবহন, পায়ে হেঁটেই কারখানায় শ্রমিকরা

নেই পরিবহন, পায়ে হেঁটেই কারখানায় শ্রমিকরা

আওয়াজ অনলাইন : সারা দেশে আজ থেকে শুরু হলো, ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে, শিল্প-কারখানা; ব্যাংক-পুঁজিবাজার ও আদালত।

কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তেই পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পোশাক শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহনের বিষয়ে কোনো কিছুই সরকার কিংবা বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায়।

সর্বাত্মক লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে রবিবারও বন্ধ থাকবে ব্যাংকিং সেবা। বাকি দিনগুলোতে প্রধান কার্যালয়, বৈদেশিক শাখা, এডি শাখা সীমিত জনবল নিয়ে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে মিলিয়ে, পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

উন্মুক্ত স্থানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাজার বসানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কঠোর লকডাউন কার্যকরে র‍্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মাঠে আছে, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। সড়কের মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

এদিকে সাতসকালেই হাজারো শ্রমিক পায়ে হেঁটে গেছেন কারখানায়। দূরের গন্তব্যের শ্রমিকরা অপেক্ষায় ছিলেন দীর্ঘসময়। অনেকেই গাদাগাদি করেই যেতে বাধ্য হয়েছেন। আবার অনেকে নিরুপায় হয়ে বিক্ষোভ করেছেন মহাসড়ক অবরোধ করে।

এক গার্মেন্ট শ্রমিক বলেন, ‘১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা চায়। আমরা ব্যাতনি (বেতন) পাই ৮ হাজার ট্যাকা। পোষাইবো এত ট্যাকা গাড়ি ভাড়া, রিকশা ভাড়া দিয়া যাইয়্যা? দেরি কইরা গার্মেন্টসে গেলে আবার বাইর কইরা দেয়। সকাল ৬টা থাইকা ৮টা পর্যন্ত গাড়ির লাইগা দাঁড়ায় রইছি। গাড়ি নাই।’

পোশাক শ্রমিকরা বলেন, ‘পোশাক কারখানা খোলা। পরিবহন নাই। অফিস-আদালত খুইলা, ব্যাংক খু্ইলা; সরকারি গাড়িঘোরা প্রাইভেট সব চলে। খালি পরিবহন নাই। তাহলে অফিসে যামু আমরা কি দিয়া?’

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘লকডাউন আসলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য নাটক। লাখ লাখ শ্রমিক কারখানায় কাজ করে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আন্তরিকতা নেই। বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। শ্রমিকদের করোনার টেস্ট এবং ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলো। কিন্তু পোশাক কারখানা খোলা। স্পষ্টভাবে গার্মেন্টস মালিকদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলো না। কারখানা খোলা রেখে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা বা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কি সম্ভব?’
/এইচ.

error: Content is protected !!