হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » আশ্রিত রোহিঙ্গা যুবকের হাতে আশ্রয়কারীর সন্তান অপহরণের শিকার , মুক্তিপন দাবি 

আশ্রিত রোহিঙ্গা যুবকের হাতে আশ্রয়কারীর সন্তান অপহরণের শিকার , মুক্তিপন দাবি 

মোহাম্মদ খোরশেদ, হেলালী কক্সবাজার : আশ্রিত রোহিঙ্গা যুবকই অপহরণ করল আশ্রয়কারীর সন্তানকে। রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুর (২১)। মানবিক কারণে তাকে মুরগীর ফার্মে চাকরি দেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরিদ।
কিন্তু সেই রোহিঙ্গা নুরই  ফরিদের ছেলে মিনহাজকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মুঠোফোনের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর)  গভীর রাতে কক্সবাজারের একটি রিসোর্ট থেকে অপহৃত শিশু ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পরবর্তীতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
অপহৃত আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ (৭) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বাগান পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের ছেলে। গ্রেফতার মোহাম্মদ নুর উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ এর বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো.জাবেদ মাহমুদ জানান – গত ৮ ডিসেম্বর চুনতি এলাকার মুরগি ফার্ম থেকে সম্প্রতি চালু হওয়া ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন দেখার কথা বলে শিশু মিনহাজকে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা নুর। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর মুঠোফোনে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সে। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয় । দুই ধাপে পরিবারটি ৪০ হাজার টাকা পাঠায়। তারপরও শিশুটিকে ছেড়ে দেয়নি অপহরনকারী রোহিঙ্গা নুর। তারপর থেকে খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ করে পরিবার। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।
ডিবির ওরি আরও জানান- বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্তের পর কক্সবাজার পৌর শহরের হোটেল-মোটেল জোনের প্রিন্স রিসোর্ট নামে একটি হোটেলের কক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণকারী মোহাম্মদ নুরকেও গ্রেফতার করা হয়।
৪০ ঘণ্টার অভিযানের কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন- রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে চাকরি ও বসবাস শুরু করেছে। যার কারণে দ্রুত অপরাধ করে পালানোর সুযোগ থাকে। প্রায় ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যথায় প্রাণ ঝুকিতে ছিল। পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেছে। অপহরণ, ছিনতাই, চুরি ঠেকাতে আমরা মাঠে রয়েছি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন- গ্রেফতার নুরের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় অন্যকোন চক্র রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
error: Content is protected !!