হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » আলফাডাঙ্গায় রাতের আঁধারে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া, অবরুদ্ধ পরিবার

আলফাডাঙ্গায় রাতের আঁধারে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া, অবরুদ্ধ পরিবার

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে একটি নিরীহ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। 
বিকল্প স্থান দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এরআগে বুধবার গভীররাতে উপজেলার কুচিয়াগ্রাম এলাকার মফিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের চলাচলের রাস্তার মুখে টিনের বেড়া দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমি নিয়ে উপজেলার কুচিয়াগ্রাম এলাকায় মফিদুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মফিদুল ইসলামের করা একটি দেওয়ানী মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারে পরাজয় নিশ্চিত জেনে জোরপূর্বক মফিদুল ইসলামের জমি জবরদখল করার পায়তারা করতে থাকে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার দুই ভাইসহ পরিবারের আরও কিছু লোকজন মফিদুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তির রাস্তা বন্ধ করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। ভোরে মফিদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী মফিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও রাতের আঁধারে টিনের বেড়া দিয়ে তাদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের কাছে শুনতে গেলে ভয়ভীতি দেখানোসহ অশালিন গালমন্দ করেন। এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে অনেকটা অবরুদ্ধ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মকিবুল হোসেন জানান, ‘দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তবে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। কারও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা ঠিক না। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।’
আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিনয় বাড়ৈ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি সঠিক। প্রাথমিকভাবে চলাচলের রাস্তায় বেড়া খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
error: Content is protected !!