হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » নন্দীগ্রামে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নন্দীগ্রামে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনটি করেন উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কুচমা এলাকাবাসী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম ও শিক্ষিকা শাহানাজ পারভিনের অপসারণের দাবি তুলে এই মানববন্ধন করেন তারা।

প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর কুচমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক মো: হাফিজুল হাকিম ও শিক্ষিকা শাহানাজ পারভিনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাদেরকে অন্যত্র অপসারণের দাবিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

অভিযোগ পত্রে তারা বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: হাফিজুল হাকিম স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে অসৎ আচরণ, বিদ্যালয়ে উন্নয়নমূলক কাজ কর্ম না করা, বিদ্যালয় মেরামত বাবদ সর্বমোট ৩লক্ষ টাকার কাজ না করা, বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান ক্ষুন্ন হওয়া, বিদ্যালয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে নিজের কাজ করা সহ নানা ধরণের অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন এবং সকল গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে বক্তব্য
রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা ফজলুল হক।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন তারা সাক্ষ্যদাতারা হলেন, ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মো; আনোয়ার হোসেন, গ্রামবাসী আশরাফুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মাকুম, নাজির।

এরপর বিদ্যালয় পাঙ্গনে গ্রামবাসী এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিদ্দিকুর রহমান,রেজাউল,আশরাফুল, রশিদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উক্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হইবে। এবং উক্ত
শিক্ষক শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করার জোরদাবি জানান। এবিষয়ে তদন্তকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হলো।

তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রেরণ করা হইবে, এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

error: Content is protected !!