হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে পাচার ৫০ বিলিয়ন ডলার

বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে পাচার ৫০ বিলিয়ন ডলার

আওয়াজ অনলাইন: বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে গেলো ছয় বছরে পাচার হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার। জিডিপির ৩২ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে হওয়ায় এই অর্থ উদ্ধারও সম্ভব নয়। সোমবার, ডিজিটাল কারেন্সির অর্থনীতি নিয়ে এক আলোচনায় বক্তারা আরো বলেন, কারেন্সি ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকারের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেনও পরিবর্তন আসছে। চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল মুদ্রা। ডিজিটাল কারেন্সির পথে হাটছে উন্নত বিশ্ব। যা সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি নামে পরিচিত। বাংলাদেশও এখন সম্পৃক্ত হতে চায় এ নতুন মুদ্রা ব্যবস্থায়। আর সে জন্য গেল, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটেও ডিজিটাল মুদ্রা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার।

এই ডিজিটাল কারেন্সি চালু হলে কতোটা লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ, এটি বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগও বা কি হবে তা জানাতে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠান। যেখানে বলা হয়, বর্তমানে দেশে প্রকৃত কাগুজে মুদ্রা আছে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি যা এরই মধ্যে ১৫ লাখ কোটি টাকার বাজার তৈরি করেছে।

এনিয়ে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, টাকায় লেনদেনের কারণে গেলো ছয় বছরে বাণিজ্যের আড়ালে ৫০ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম যেমন সংগঠিত হয়েছে দেশে, তেমনি দেশে লেনদেন ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর না হওয়ায় বিপুল পরিমাণে অর্থ হারাচ্ছে সরকার।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন , ডিজিটাল মুদ্রার জন্য ইকো সিস্টেম প্রয়োজন। অথ্যার্ৎ কাগজে মুদ্রার মতোই এ মুদ্রা দিয়ে পন্য ও সেবা ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ দিতে হবে। এ মুদ্রা ব্যবস্থায় যোগ দিতে হলে গ্রাহকদের যুক্ত হতে হবে ইন্টারনেট ব্যবস্থায়। দিতে হবে সাইবার নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জও। আর সব কিছু ছাপিয়ে এমন প্রযুক্তি নির্ভর অর্থ ব্যবস্থার বলয় গড়ে তুলতে কতোটা রাজনৈতিক স্বইচ্ছা আছে সরকারের সেটিও ভেবে দেখতে হবে।

বিশ্বের ৪১ শতাংশ দেশ সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সী চালুর বিষয়ে গবেষণা করছে। এরই মধ্যে চালু করেছে ৯ শতাংশ । সেমিনারে বক্তারা বলছেন, এই মুদ্রা ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে বুয়েটের অধীনে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি নীতি কাঠামো নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে।

error: Content is protected !!