মিজানুর রহমান, (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নাদের হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো বিচার পায়নি ভুক্তভোগী।এএসআই নাদের হোসেনের দাবি ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেনি। তবে ফারহানা আক্তার উর্মি বলেন, এএসআই নাদের হোসেনকে তিনি বিয়ে করেছেন।
আর এএসআই নাদের হোসেনের প্রথম স্ত্রী শিল্পী বেগেমও দাবি করেন তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার নামে এক নারীকে এফিডেভিট মূলে তার স্বামী বিয়ে করেছেন। পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। তবে অভিযোগকারী নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ তিনি বিচার পাননি। উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নাদের হোসেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গত বছরের ২০ জুলাই ওই এলাকার নাবিদ হাসান হিমেলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী ফারহানা আক্তার উর্মিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাবিদ হাসান হিমেল গত ২ আগষ্ট লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগ পত্রের সাথে নাদের হোসেন ও ফারহানা আক্তার উর্মির বিয়ের একটি এফিডেভিট সংযুক্ত করেন নাবিদ হাসান হিমেল। গত ১৯ আগষ্ট এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগমও লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগে শিল্পী বেগম দাবি করেন, তার স্বামী নাদের হোসেন তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার উমি নামে এক নারীকে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করেছে এবং এরপর থেকে তাকে ও তার সন্তানের ভরন-পোষন দিচ্ছে না। দুইটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২১ আগষ্ট তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর) নিদের্শ দেন।
কিন্তু নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ, এ ঘটনার ৭ মাসে পার হলেও তার দায়ের করা অভিযোগের কোনো বিচার তিনি পাননি। উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা নাদের হোসেন তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় এএসআই নাদের হোসেন জানান, ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেনি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। তবে ফারহানা আক্তার উর্মি জানান, তিনি তার আগের স্বামী নাবিদ হাসান হিমেলকে তালাক দিয়ে এএসআই নাদের হোসেনকে বিয়ে করেছেন।
অপর দিকে এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, আমি শুনেছি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এরপর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করি। ওই বিয়েতে আমার অনুমতি নেয়া হয়নি। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে। তবে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, বিষয়টি আগের পুলিশ সুপার তদন্ত করেছেন। আমি যতদুর জানি ওই সময় উভয় পক্ষের মাঝে মিমাংসা হয়েছে।
আরও পড়ুন
হোসেনপুরে গৃহবধূকে মধ্যরাতে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
ফুলবাড়ীতে বিষ প্রয়োগে ৬ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ
হাতীবান্ধায় সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ১০