হোম » সারাদেশ » মাতারবাড়ীতে নদীতে মেশিন বসিয়ে জলাশয়-কৃষি জমি ভরাট বন্ধে গরজ নেই

মাতারবাড়ীতে নদীতে মেশিন বসিয়ে জলাশয়-কৃষি জমি ভরাট বন্ধে গরজ নেই

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী কক্সবাজার:  কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ জলাশয় ভরাট আইনলঙ্ঘন করে বালি দিয়ে জলাশয় ও পুকুর ভরাট করলেও বন্ধেন গরজ নেই। বালি দিয়ে জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট চলছেই।
এতে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানাগেছে, উপজেলার মাতারবাড়ীতে অবাধে রাস্তার ধারের কৃষিজমি ও জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। আর সেসব জমি ভরাট করে বসতঘর, রাস্তাঘাট, দালানকোটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। ফসলের পরিবর্তে শোভা পাচ্ছে পাকা ঘরবাড়ি। অব্যাহতভাবে এ অবস্থা চলতে থাকলে ফসল উৎপাদন কমে আসার আশঙ্কা করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
অভিযোগ উঠেছে কোহিলা নদীতে সেলু মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করে উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের রাজঘাট প্রধান সড়কের পাশে নতুন বাজার সিএনজি স্টেশনের আগে এলাকায় কৃষি জমি ও জলাশয় ভরাট করার প্রতিযোগিতা নেমেছে স্থানিয় প্রভাবশালী মহল। ফলে কৃষি জমি ভরাট করার কারণে উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক বছর আগেও যে জমিতে আউশ, আমনসহ রবি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের চাষাবাদ হতো, সে জমিতে ক্রমান্বয়ে বাসাবাড়ি বহুতল ভবন গড়ে উঠছে। কৃষি বিভাগের মতে প্রতি বছর দেশে এক শতাংশ হারে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। এর সঙ্গে নাগরিক জীবনের নানা অনুষঙ্গে ও মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডে চিরচেনা প্রাকৃতিক পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ও মাছের আবাসস্থল বিলীন হচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন কার্যকরের অভাবে আবাদি কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। ফলে খাদ্য ঘাটতিসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
উপজেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, মানুষ কৃষিজমি ও জলাশয় ভরাট করে বাড়িঘর করলেও কেউ এসে কোন ধরনের অনুমতি নিতে চায় না বা প্রয়োজন মনে করে না। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি।
কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।  মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মীকি মারমা জানান, অনুমতি ছাড়া জলাশয় ভরাট করা বেআইনি। এটি খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

error: Content is protected !!