হোম » সারাদেশ » রবীন্দ্র চর্চা করলে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা হয়: রবি উপাচার্য

রবীন্দ্র চর্চা করলে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা হয়: রবি উপাচার্য

বাংলাদেশের একমাত্র সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই। প্রতিষ্ঠার অর্ধযুগেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান শিক্ষাকার্যক্রম ও স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক গণমানুষের আওয়াজের প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাস্পাস নির্মাণের প্রকল্পটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: ক্যাম্পাস নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সবসময় গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি দ্রুত পাশের জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। প্রকল্পটি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষাধীন আছে; চলমান আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে দিকনির্দেনা এসেছিল  সে অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রশ্ন: মূল ক্যাম্পাস নির্মাণের পূর্বে অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? শিক্ষার্থীদের আবাসন বা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণটা দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ব্যাচ ইতোমধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। আরেকটি ব্যাচ স্নাতকের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিবেচনা করে আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের পূর্বে অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষাকার্যক্রম বাড়ানোর জন্য বর্তমান অবস্থা থেকে আরো ভালো অবস্থায় উত্তরণের জন্য কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসের আবহ পায় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
প্রশ্ন: সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদালয় হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কতটুকু অবদান রাখছে?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষা, গবেষণাও অনেক এগিয়ে যাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া সংস্কৃতি চর্চা সহশিক্ষা কার্যক্রমেরই অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা সাহিত্যের সংস্কৃতি চর্চার দায়িত্ব আইনগতভাবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর পড়েছে। রবীন্দ্র চর্চা করলে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা হয়; রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকে বিশ্লেষণ করলে বাঙালিকত্বকে খুঁজে পাওয়া যায়; বাংলা ভাষাকে চর্চা করার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রচলিত ধরার শিক্ষার সাথে সংস্কৃতি যুক্ত করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যে শিক্ষা দিচ্ছে তা জাতীয় ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।
প্রশ্ন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ভূমিকা রাখবে?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য স্মার্ট সিটিজেন প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়তে কাজ করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষায়, জ্ঞানে, সংস্কৃতিতে এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি আমরা গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারি তাহলে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে সততা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে।
প্রশ্ন: নতুন বিভাগ খোলা কিংবা শিক্ষাকার্যক্রম সম্প্রসারণে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: মফস্বলে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমরা অনেক কিছু চাইলেও করতে পারিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম সম্প্রসারণে কাজ চলছে। আমরা বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করছি। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করার চেস্টা করছি। এছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র- শনিতেও পাঠদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি না?
ড. মোঃ শাহ্ আজম: শিক্ষার্থীদের প্রথমত বলব সচেতন হতে; মশা নিরোধক এবং মশারি ব্যবহার করতে। বাসার আশে-পাশের আঙ্গিনা পরিস্কার এবং জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পূর্বে সেখানে মশা নিরোধক ব্যবহার করছি। এছাড়াও স্থানীয় পৌরসভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে জায়গাগুলোতে থাকে সেখানে মশা নিরোধক ব্যবহারের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে।
error: Content is protected !!