হোম » সারাদেশ » ২য় সিজনে ‘বাংলার গায়েন’ এর প্রথম রানার্সআপ শান্তা ইসলাম

২য় সিজনে ‘বাংলার গায়েন’ এর প্রথম রানার্সআপ শান্তা ইসলাম

আর জে রিমন চৌধুরী: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তা ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শান্তা ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন গানের সাথে। এই শিক্ষার্থী গান গেয়ে সেরা হবার পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। জায়গা করে নিয়েছেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি প্রচারিত রিয়েলিটি শো ২য় সিজন’বাংলার গায়েন’   এর ১ম রানার্সআপ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তীব্র ঝোঁক সৃষ্টি হয় ঝালকাঠির  শান্তার। বাবারও স্বপ্ন ছিল শান্তা একদিন বড় শিল্পী হবে। বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে মাত্র ৪বছর বয়সেই গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে গান শেখা শুরু করেন শান্তা। ২০০৯ সালে ক্ষুদে বাংলাতে গান গাওয়ার মাধ্যমেই প্রথম গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এই শিল্পীর।
পরবর্তীতে ২০১১ সালে ভারতের ‘রূপসী বাংলা’ চ্যানেলে একটি গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন শান্তা৷ যেখানে বাংলাদেশ থেকে এককভাবে মনোনীত হন তিনি। এরপর জাতীয় পর্যায়ে নানান প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে অংশ নেন শান্তা৷
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরও এই শিক্ষার্থী গানের মাধ্যমে মাতাচ্ছেন ক্যাম্পাস। যেকোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা উপলক্ষে শান্তা তার গলার সুরে সৃষ্টি করছেন অন্যরকম উদ্দীপনা ও পরিবেশ।
 বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থী সবার মাঝেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে গানের মাধ্যমে। এদিকে গত আগস্ট মাসে সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুপ্রেরণায় নিজের পাঠানো গানের ভিত্তিতে আরটিভি প্রচারিত রিয়েলিটি শো বাংলার গায়েন-এ প্রাথমিকভাবে মনোনীত হন তিনি।
এক্ষেত্রে দুই ক্যাটাগরি গান পাঠানো হলে দুটিই মনোনীত হয়। পরবর্তীতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অডিশন রাউন্ডে প্রায় ৪ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে ৩৬ জন মনোনীত হয়। যেখানেও জায়গা করে নেন শান্তা। বর্তমানে তিনি প্রথম রানার্সআপ।   প্রথম রানার্সআপ নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শান্তা বলেন; এ প্রাপ্তি আপনাকে সকলের। সর্বপ্রথম সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। তারপর আমার পরিবারের সকলকে এবং আমার দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের। সকলের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।
শান্তা আরও  বলেন, স্কুলে যাওয়ার আগেই আমি হারমোনিয়াম ধরেছি গান শেখার জন্য। আমার ইচ্ছা জীবনে ভালো জায়গায় যাব এই গান দিয়ে। মানুষ যেন ভালোবাসে আমাকে আর আমার গানকে। সংগীত বিভাগে ভর্তি হবার পর গানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান কতটা সেটা বলে বুঝানোর মত না। প্রতিটা মানুষের ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত শিশু পুরস্কার, শিক্ষা সপ্তাহ পুরস্কারসহ মোট ৫বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী।
error: Content is protected !!