হোম » সারাদেশ » বগুড়ার শাজাহানপুরে দূস্কৃতকারী পিতা-পুত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার শাজাহানপুরে দূস্কৃতকারী পিতা-পুত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের দূস্কৃতকারী পিতা ও পুত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রামবাসি। শনিবার বেলা ১১টায় শাজাহানপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসির পক্ষে আব্দুল বাছেদ, কামাল হোসেন, সুমন মিয়া ও আইদুল হকসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল বাছেদ বলেন, সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আফসার আলী (৫০) ও তার ছেলে সুমন মিয়ার (২৫) অত্যাচারে এবং তাদের অনৈতিক কার্যকলাপে গ্রামবাসিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা পিতা-পুত্র একাধারে মাদক ও নারী ব্যবসায়ী। চুরি, ছিনতাইসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা তারা করে না। ইতিপূর্বে জুব্বার হাজীর কাপড়ের দোকানে চুরি সহ একাধিক বার চুরি করে ধরা খেয়ে গ্রামবাসির কাছে তারা গণধোলাই খেয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রী সাথী আক্তারের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়া সুমন মিয়া তার বড়চাচার একটি গাভীকে বলাৎকার করার সময় গ্রামবাসির হাতে ধরা পড়ে। পিতা-পুত্র একসাথে নারী ভাড়া করে নিয়ে এসে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। একাধিকবার গ্রামবাসির হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইও খেয়েছে। সুমন মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে জনৈক এক সেনাসদস্যকে আটকে রেখে তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিলে পরবর্তিতে র‌্যাব-১২ সদস্য এসে তাকে উদ্ধার করে।
২ মাস আগে রাতের বেলা সুমন মিয়া জনৈক এক নারীকে ভাড়া করে নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়া নিয়ে ওই নারীর সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দেয়। পরে ওই নারী আদালতে নারী নির্যাতন মামলা করেন। ওই মামলায় কাউকে কিছু না বলে স্থানীয় ৬ যুবককে সাক্ষী করা হয়। এই সাক্ষী হওয়ার কারণে ওই ৬ যুবককে হয়রানী করার জন্য গত ৬ জুন রাত দেড়টার দিকে আফসার আলী তার পরিত্যাক্ত টিনের ছাপড়া ঘরে নিজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও সামাজাকি যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোষ্ট দিয়ে সামাজিক ভাবে মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আফসার আলী প্রথমে ভ্যান চালাতো। এরপর চুরি করা শুরু করে। চুরি করে একাধিকবার গ্রামবাসির হাতে ধরা খেয়ে গণধোলাইয়ের পর বাড়ির সাথে লোক দেখানো পান, সিগারেট ও খড়ির দোকান দেয় এবং নারী ও মাদক ব্যবসা শুরু করে। এই অবৈধ ব্যবসা করে বর্তমানে তারা বিপুল পরিমানে জমি-জমা, ট্রাক ও বিল্ডিং বাড়ির মালিক হয়েছেন। এই বিপুল পরিমান সম্পত্তির মালিক হওয়ায় তাদের দাপটে ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কেউ কিছু বললে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকিসহ ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় এই মাদক ও নারী ব্যবসায়ী, সমাজের কীট পিতা-পুত্রের হাত থেকে গ্রামবাসিকে রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
অভিযুক্ত আফসার আলী জানান, অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। শত্রুতা করে তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগুন লাগার ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
error: Content is protected !!