হোম » সারাদেশ » মির্জাগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা 

মির্জাগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা 

এস কে মিন্টু,মির্জাগঞ্জ: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের বাকি এখনো বেশকিছু দিন। এরই মধ্যে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটা করার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছে মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট,শপিংমল ও ফুটপাতে গার্মেন্টস কসমেটিকসের দোকান গুলোতে। উপজেলার সুবিদখালী বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুয়েলার্স,গার্মেন্টস,কসমেটিকস ও স্টেশনারি মালামালের দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য প্রচুর মানুষের ভীর লক্ষ্য করা গেছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষ ঈদের কেনাকাটা করার জন্য সুবিদখালী বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দোকানে ভীড় জমাচ্ছে। গার্মেন্টসের দোকানীরা ক্রেতাদের পছন্দ ও রুচিসম্মত পোশাকাদি দোকানে সাজিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন পণ্যের দোকানদাররা জানান,গত ঈদে করোনার জন্য বেচাবিক্রী তেমন ভালো হয়নি। এবারে ১০ রমজান থেকেই ঈদের কেনাকাটা করার জন্য প্রচুর ক্রেতা আসছে। গত রমজানের এমনদিনে ক্রেতা ছিলোনা বললেই চলে। যেহেতু ঈদের বাকি এখনো বেশকিছু দিন,সেহেতু আশাকরি সামনের দিনগুলোতে বেচাবিক্রী আরো ভালো হবে। এবার ঈদের প্রায় ১৫-২০ দিন আগ থেকেই সব শ্রেণীর ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখে এবং বেচাবিক্রী করে আমরা অনেক খুশি।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান,গত বারের চেয়ে এবার বেচাবিক্রী খুবই ভালো হচ্ছে। গত ঈদের চেয়ে এবারের ঈদ উপলক্ষে,বাচ্চাদের জন্য,যুবক-যুবতী,তরুণ-তরুণী ও বয়ষ্কদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নতুন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পছন্দ ও মানসম্মত সুন্দর সুন্দর পোষাক বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দামও সব ধরনের ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে আছে। এক ক্রেতা জানান,আমি নিম্ন আয়ের মানুষ। ঈদের দুইএকদিন আগে যদি গার্মেন্টস পোশাকের দাম বৃদ্ধি পায়,তাহলে আমাদের মতো মানুষের পক্ষে পরিবারের সব সদস্যের জন্য নতুন পোশাক কেনা সম্ভব হবে না। সেই শঙ্কায় একটু আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করেছি। মা-বাবা স্ত্রী সন্তানসহ সবার জন্যই ঈদের দিন পরিধানের পোশাকাদি কিনেছি। দামও এখন মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে।
error: Content is protected !!