হোম » সারাদেশ » দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা পাবে ট্রাস্টি বোর্ডের আর্থিক সহায়তা

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা পাবে ট্রাস্টি বোর্ডের আর্থিক সহায়তা

আজিজুর রহমান হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের নিদিষ্ট নীতিমালা না থাকায় দীর্ঘ চার বছর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ আর্থিক সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়। অবশেষে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে ট্রাস্টি বোর্ডের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দুই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এতদ্বারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী এ বিশ্ববদ্যালয়ের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি বছর দুইবার এনরোলমেন্টের জন্য আর্থিক (আংশিক) সহযোগিতা করা হবে। এ পর্যায়ে জানুয়ারী-জুন ২০২২ সময়কালের এনরোলমেন্ট এর জন্য অর্থ সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করতে বলা হলো।
শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে (১) শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত অর্থাৎ যে সেমিস্টারের এনরোলমেন্টের অর্থ সহযোগিতার জন্য আবেদন করবে তার পূর্ববর্তী সেমিস্টারের সকল বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে এবং কোন বিষয়ে শর্ট সেমিস্টার থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। (২) বিগত সেমিস্টারের জিপিএ কমপক্ষে ৩.০ থাকতে হবে।  (৩) পিতা-মাতা কিংবা অভিবাবকের বাৎসরিক আয় সর্বোচ্চ ২০০০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা বা তার কম হবে “।
অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক থাকাকালীন সময় থেকে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী এ আর্থিক সহায়তা পাওয়া শুরু করে। সর্বশেষ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান দায়িত্বে থাকাকালীন এই আর্থিক সহায়তা দেয়ার পর থেকে নানা জটিলতায় আটকে ছিলো ট্রাস্টি বোর্ডের আর্থিক সহায়তা।
এব্যাপারে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক জানান, এনরোলমেন্ট অর্থ সহযোগিতা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন আগামী ১২ মে পর্যন্ত নেয়া হবে। অসম্পূর্ণ ও অসত্য আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি কতজন শিক্ষার্থীকে এই আর্থিক সহায়তা দিবো। তবে এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দুই হাজার টাকা করে পাবেন বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আমরা সম্ভাব্য ১৫ জুনের মধ্যেই এই অর্থ সহায়তা শিক্ষার্থীদের দিয়ে দিবো।
পরিচালক আরও জানান, ট্রাস্টিবোর্ডের নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তবে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ভাবেই এ অর্থ সহায়তা পাবে। একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিবার বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর শর্তসমূহ পূরণ সাপেক্ষে এই অর্থ সহায়তার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থীরা এই আর্থিক সহায়তার জন্য মনোনীত হবে না। পরিশেষে ট্রাস্টিবোর্ডের নীতিমালা সহ সামগ্রীক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান মহোদয় সার্বিকভাবে সহায়তা করায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ রাকিব হাসান বলেন, এনরোলমেন্ট আর্থিক সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকার। দীর্ঘদিন এ আর্থিক সহায়তা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে এনরোলমেন্টের টাকা জমা দেয়ার সময় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ হাবিপ্রবির এনরোলমেন্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স নিতে প্রায় প্রতি সেমিস্টারে পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। যা অনেকের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য। কারণ হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। তবে বর্তমান প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা থাকবে যারা প্রকৃত অস্বচ্ছল এবং মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের মাঝেই যাতে এই অর্থ দেয়া হয়।
error: Content is protected !!