হোম » সারাদেশ » ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘এবি পার্টির’ মানববন্ধন ও শান্তি মিছিল

ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘এবি পার্টির’ মানববন্ধন ও শান্তি মিছিল

মারুফ সরকার,ঢাকা: গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার করোনা বিপর্যস্ত পৃথিবীতে আগ্রাসনবাদী যুদ্ধ বন্ধ করুন বলে নেতাকর্মীদের দাবি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমন ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এক প্রতিবাদী মানববন্ধন ও আগ্রাসন বিরোধী, শান্তির স্বপক্ষে মিছিল বের করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ও শান্তি মিছিলে নেতৃত্ব দেন এবি পার্টির আহবায়ক, সাবেক সচিব এ.এফ.এম. সোলায়মান চৌধুরী। এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শওকত আরমান, এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর অবঃ আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ইলিয়াস আলী।

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, করোনায় গোটা পৃথিবীর অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এই রকম একটি মুহূর্তে রাশিয়ার এই আক্রমণ গোটা পৃথিবীতে দূর্ভিক্ষ নিয়ে আসতে পারে। ইউক্রেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর এই ধরনের ন্যাক্কার জনক হামলা মানবতাবিরোধী। তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান আন্তর্জাতিক বিশ্বকে যুদ্ধবিরতিতে আনতে ভুমিকা রাখার জন্য। ডাঃ শওকত আরমান বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আজ ভাবতে অবাক লাগে মানুষ কিভাবে মানুষকে গুলি করে আর আমরা ডাক্তাররা তার চিকিৎসা করি। তিনি অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানান। প্রফেসর মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি একটি কল্যানরাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে। তাই আমরা আজ শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। যুদ্ধ কোন সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। তিনি অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহবান জানান। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপ থেকে আজ মানুষ তার অধিকারের শিক্ষা নেয়। সেখানেই যদি এই মরণযুদ্ধ চলতে থাকে তাহলে গোটা মানবতাই হুমকির মূখে পড়বে। গোটা পৃথিবীতে দ্রব্য মূল্য আকাশচুম্বী। ইউক্রেন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ। এই যুদ্ধ গোটা পৃথিবীর সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকাকে হুমকিতে ফেলবে। তিনি সরকারের প্রতি অবিলম্বে ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার আহবান জানান।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউ আমাদের শত্রু নয়, বরং উভয় দেশের সমন্বয়ে ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিরোধ আছে এবং থাকবে কিন্তু সেটা কখনোই যুদ্ধ দ্বারা সমাধান হবেনা। যুদ্ধ মানে ধ্বংস, যুদ্ধ মানে নারী পুরুষের হাহাকার। যুদ্ধ মানেই নিজ অবস্থান ও অস্তিত্ব হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব ও উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। আমরা অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে। দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। এই যুদ্ধ শুধু সাম্রাজ্য বিস্তারের। এই যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত করবে সারা পৃথিবীর মানুষকে। তিনি রাশিয়ার আক্রমণে বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, গাজী নাসির, হাদি উজ্জামান, জাতীয় জনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মাদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, ছাত্র বিভাগের সমন্বয়ক আল আমিন প্রিন্স, সরদার মশিউর রহমান মিলু, হাদীউজ্জামান হাদী, ফেরদৌসী আক্তার অপি, প্রকৌশলী কামাল হোসেন প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে একটি শান্তি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগরস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

error: Content is protected !!