হোম » সারাদেশ » কুবির উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার: দাবী প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের

কুবির উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার: দাবী প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের

সজীব আহম্মেদ রিমন, কুবি  প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজেরা সুযোগ নিতে না পারায় প্রকল্পটি নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, একটি চক্র গণমাধ্যম ও ফেসবুকে বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে প্রকল্পটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির ব্যবহারযোগ্য জায়গা নিয়ে  মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে যে, অধিকতর উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত ২০০ একরের মধ্যে  ব্যবহারযোগ্য জায়গা মাত্র  ৬৮  একর। এ তথ্যটি  মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি প্রকল্প সংশিষ্টদের।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সানোয়ার আলী বলেন, পুরো প্রকল্পের জায়গা জরিপ এবং মাটি পরীক্ষা করে সেনাবাহিনী একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। ২০০ একর জুড়ে বিল্ডিং কর‍তে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। এই প্রকল্পের জমি সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। যেখানে পাহাড় আছে পাহাড় থাকবে। যেখানে সমতল জায়গা সেখানে বিল্ডিং হবে। সবকিছু সেনাবাহিনী সাজানো গুছানোভাবেই করবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশের কোনো ধরনের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সেভাবেই পরিকল্পনা করে প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। আমরা তো পরিবেশ অধিদপ্তরেরও ছাড়পত্র নিয়েছি। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়া হয়েছে অল্প কয়েকদিনের ভিতরে কাজ শুরু হবে। তবে এখন একটা পক্ষ দুর্নীতি করতে পারবে না বলেই এসব গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, সেনাবাহিনীকে কাজ দেয়ায় টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক টেন্ডারবাজ মুখিয়ে ছিল প্রকল্প ঘিরে, কিন্তু সে পথ বন্ধ থাকায় তারা প্রকল্পটা নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ প্রকল্প যদি বাদ যায় তাহলে পুনরায় নতুন করে প্রকল্প আনা এতো সহজ না।
আর সেনাবাহিনীও পুনরায় প্রকল্পের কাজ নাও নিতে পারে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে অনেক রাজনীতি আছে বিশ্ববিদ্যালয় পুর্বদিকে গেলে এক আধিপত্য আবার পশ্চিম দিকে গেলে আরেক আধিপত্য। মাঝখানে বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও দুই ক্যাম্পাসের মাঝে সংযোগ সড়ক নিয়ে তিনি বলেন, দ্বিখণ্ডিত যে বিষয়টা বলা হয় এটা আসলে দ্বিখণ্ডিতও থাকবে না। বর্তমান ও প্রস্তাবিত নতুন ক্যাম্পাসের মাঝে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা সংযোগ সড়ক হবে।
সার্বিক বিষয় সম্পর্কে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারওয়ার বলেন, একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নস্যাৎ এবং প্রকল্প থেকে অর্থ লুটপাট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আমি শীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরবো।
error: Content is protected !!