হোম » সারাদেশ » ডোমারের চিলাহাটী রেলওয়ে ষ্টেশনের আইকনিক ভবন নির্মান কাজ অজ্ঞাত কারনে বন্ধ!

ডোমারের চিলাহাটী রেলওয়ে ষ্টেশনের আইকনিক ভবন নির্মান কাজ অজ্ঞাত কারনে বন্ধ!

মো:রিমন চৌধুরী,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি: অজ্ঞাত কারনে বন্ধ আন্তর্জাতিক মানের নীলফামারী ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশনের আইকনিক ভবন নির্মাণ কাজ। গত এক বছর ধরে ভবনটির কাজ বন্ধ থাকায় পিলারের উন্মুক্ত রডগুলাতে ধরেছে মরিচা। পড়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। বিগত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। এ ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ভবনের একশ’ ৭৫টি পাইলিং শেষে ৯২টি পিলারের পাইল ক্যাপ স্থাপন করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ভবন নির্মাণ কাজ। রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় নীলফামারী ডোমার চিলাহাটী থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় এবং রেলপথটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে দুই দেশের সরকার। স্বাধীনতার পর বন্ধু প্রতিম দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ধারাবহিকতায় দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ দশক বন্ধ থাকা রেলপথটি ২০২১ সালের ২৭ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুনরায় রেল যোগাযোগ পুন:স্থাপন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে এ রেলপথে চলাচল করছে পন্যবাহী ট্রেন। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই এ রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে।

রেলপথ মন্ত্রানালয় চিলাহাটীতে একটি আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবন নির্মাণে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রেলওয়ে ব্রীজ, লেভেল ক্রসিং, রেস্ট হাউজ, টিএক্সআর ভবন, গ্যাংহাটসহ সকল সহায়ক কাজ শতভাগ শেষ করেছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে থমকে আছে আন্তর্জাতিকমানের আইকনিক স্টেশন ভবন নির্মানের কাজ । তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে নতুন করে জমা দেয়া ডিপিপি অনুমোদন হলেই দ্রæত কাজ শুরু করা হবে। ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আধুনিকমানের ষ্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কি কারণে এই কাজ বন্ধ রয়েছে আমরা তা জানিনা। আমাদের দাবি দ্রæত যেন ভবটির নির্মাণ কাজ যেন শুরু করা হয়। একই এলাকার সানাউল ইসলাম বলেন, গত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। কিছু কাজ করার পরে বন্ধ হয়ে যায় ভবন নির্মাণ কাজ। কি কারণে ভবনের কাজ বন্ধ এলাকাবাসী জানতে চাইলে কোন কথাই বলেন না কর্তৃপক্ষ কিংবা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আহসান উদ্দিন জানান, আগে যে পিপি করা হয়েছিল তাতে আইকনিক ভবন ছিল না। পরে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব এলে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাবে। এজন্য রিভাইজ ডিপিপি করা হয়েছে। এটি অনুমোদন হলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

error: Content is protected !!