হোম » সারাদেশ » জাওয়াদের প্রভাবে ভারী বর্ষণে চিন্তিত আমতলীর কৃষকরা।

জাওয়াদের প্রভাবে ভারী বর্ষণে চিন্তিত আমতলীর কৃষকরা।

এইচ এম কাওসার মাদবর: করোনার পর এ বছর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ মাঠ ভরা সোনালী ধান নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। এরইমধ্যে মাঠভরা সোনালী ফসল দেখে কৃষকের হাসি ফুটেছে। আর ১০/১৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা এ ফসল ঘরে তুলতে পারবে। আমতলীতে গত শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে কালো মেঘ দমকা ঠান্ডা বাতাস বইছে সেই সাথে অন্ধকার রুপ ধারণ করেছে প্রকৃৃতি, সূর্যের দেখা মিলছে না। এমন বৃষ্টি বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। এতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়েছে। এতে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃষ্টি থামিয়ে দেয় কর্মব্যস্ত মানুষকে। বৃষ্টির ও কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসেনি মানুষ। তেমনি মাঠে নামতে পারেনি কৃষি, শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ জন। কুকুয়া ইউনিয়নের শাহরিয়া মাদবর বলেন, টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন চরম বিপর্যয় চলে গেছে, পাকা ধান পানির ভিতরে পড়ে যাচ্ছে ফলনের সমস্যা হচ্ছে এবং খেসারি ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। পানি জমে যাওয়ার কারণে খেসারি ডাল পচা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আমতলীতে এ বছর ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩ হাজার ৪শ ৬০ হেক্টর। সারা বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালি ধানে ছেয়ে গিয়েছিল ফসলের মাঠ। আর সামান্য কয়েকদিন পর ফসল ঘরে তোলার আশায় বুক বেঁধেছিল কৃষকেরা। তবে কৃষকের এই আশায় গুড়ে বালি হয়েছে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়।
আমতলী উপজেলার একাধিক কৃষক জানান, আর মাত্র ১২ থেকে ১৫ দিন পরেই ফসল কাটতে চেয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধান গাছ পানিতে ডুবে গেছে। সময়মতো ধান কাটতে না পারায় প্রতি বিঘায় ২ থেকে ৪ মণ ধান কম হবে। এতে তারা এ বছর বড় আকারের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি, এম রেজাউল করিম জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আমতলীতে কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল পাশাপাশি আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হলেও কৃষকরা পুরোপুরি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখন আর ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে খেসারি ডালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।
error: Content is protected !!