হোম » সারাদেশ » নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ভোলারচওড়া গ্রামের নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫৩ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ভাল ভাবে চললেও গত বছর করোনার সময়ে লগডাউনের কারনে অন্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি করোনার প্রকোপ কমে গেলে বিদ্যালয়টি যথারীতি খুললেও প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী থাকেন না।
জানা যায়, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা কালিন সময়ে স্লীপ প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা শিক্ষা উপকরণ না নিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক স্বপ্না  রাণী। নওদাবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী ঠিক মতো বিদ্যালয় আসেন না। বিদ্যালয় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কাজ আছে বলে  চলে যান।
লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য অফিস ২০১৯ অর্থ বছরে ১৩লক্ষ টাকায় একটি দ্বিতল ওয়াশব্লক তৈরির কাজ হাতে নেয়। কাজটি পায় কাজী নজরুল ইসলাম তপন। তিনি কাজটি সাব ঠিকাদার জহুরুলের কাছে বিক্রয় করে দেন। কিন্তু নির্ধারিত স্থানটিতে আগের একটি বাথরুম থাকলে ওয়াশব্লগ তৈরিতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী পুরোনো বাথ রুমটি ওয়াকশন না দিয়ে নিজেই ভেঙ্গে নিজেদের মধ্যে ইট ভাগ বাটোরা করে নেন। কমিটির সভাপতি না থাকায় কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে একের পর এক নানা অনিয়ম করেই চলছেন। কিছু ইট ওয়াশব্লক তৈরিতে সকওয়ালে ১০ইঞ্চি গাঁথুনি দেয়া হয়েছে।
বর্তমান কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী আমরা যারা কমিটির সদস্য আছি আমাদের না জানিয়ে নিজের মনের মতো করে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন। তিনি ঠিকমত বিদ্যালয় করেন না। নব-নির্বাচিত মেম্বার সাহাবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী বিদ্যালয়টি শেষ করে দিয়েছে।নানা অনিয়ম করেও তিনি বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এর বিচার চাই।
নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী বিদ্যালয়টির অনিয়ম বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেখেন আমার বিদ্যালয়ের অনেক কাজ উপজেলা অফিসে থাকে তাই মাঝে মাঝে আমাকে যেতে হয়। স্লীপ বরাদ্দের টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব টাকা আমি কাজ করেছি। পুরোনো বাথরুমের ইট হারিয়ে গেছে। কিছু ইট ঠিকাদার স্লোপের কাজে ব্যবহার করছে। আপনার প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড কি ছিলোনা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেননি।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়ম করার সুযোগ নেই। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাছিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কাজে অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
error: Content is protected !!