হোম » সারাদেশ » ঠাকুরগাঁওয়ে  বালিয়াডাঙ্গীতে ইউপি নির্বাচনে প্রচার মাইক ভাঙচুর, কর্মীকে ছুরিকাঘাত ।

ঠাকুরগাঁওয়ে  বালিয়াডাঙ্গীতে ইউপি নির্বাচনে প্রচার মাইক ভাঙচুর, কর্মীকে ছুরিকাঘাত ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও  জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউপি নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের  প্রচারের মাইক ভাঙচুর ও নুর হোসেন নামের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। ১৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মালদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত  মোঃ নুর হোসেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বড়গাছিয়া গ্রামের মৃত আলমের ছেলে। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ মাহাবুব  আলম জানান, ছুরি দিয়ে পায়ে দুটো আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থা হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মোঃ নুর হোসেনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী  মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী  মোঃ সাহাবুদ্দিন মিঞার ছেলে মোঃ জিন্নাত আলী ৩ থেকে ৪ জন নৌকা প্রতীকের কর্মী এ হামলা চালিয়েছেন। আমি বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সাহাবুদ্দিন মিঞা বলেন, ‘বিকেল ৫টার পর আমি প্রচারণায় কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছি। ঘটনার বিষয়ে জানি না। আপনারা ঘটনাস্থলে এসে আসল ঘটনা জেনে যান।’ মোঃ সাহাবুদ্দিন মিঞার ছেলে জিন্নাত আলী বলেন, ‘বাবার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলাম। যে এলাকায় ঘটনার কথা বলছেন সে এলাকা অনেক দূরে প্রচারণায় গিয়েছিলাম। এখন রাত ৯টায় মোড়লহাট বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে আসলাম। হামলা কারা করেছে বিষয়টি আমার অজানা।’বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ দলিল উদ্দীন বলেন, ‘আমাকে বিষয়টি কেউ জানায়নি।’ বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি)  মোঃ হাবিবুল হক প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
error: Content is protected !!