হোম » সারাদেশ » কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৫ দিন বয়সীশিশুর রহস্য জনক মৃত্যু 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৫ দিন বয়সীশিশুর রহস্য জনক মৃত্যু 

এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়াগ্রামে ১৫ দিন বয়সী এক নবজাতকের বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবে রহস্য জনক মৃত্যু ঘটে। আজ ৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে এই মর্মান্তিক দূর্ঘনাটির খবর পাওয়া যায়আশে পাশে লোকজনের ধরনা কেউনা কেউ শিশু আয়ানকেবাথরুমে  বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।  নবজাতকে বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যা এই ঘটনার রহস্য নিয়ে এলাকায় গুণজন সৃষ্টি হয়েছে।  নবজাতকের নাম আয়ান ইসলাম। পৌর এলাকার কালিপুর মধ্যপাড়ার মো: ইদ্রিস মিয়া ও সাকিলা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান।সে।
আজ শুক্রবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে আয়ানকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মাশকিলা। দুপুরের রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন দাদী শামসুন্নাহার বেগম। রান্নার ফাঁকে শামসুন্নাহার দেখতে পান সাকিলা ঘুমিয়ে থাকলেও পাশে আয়ান নেই। আয়ানকে না পেয়ে চিৎকার চেচামেচি করার সময় ইদ্রিস মিয়ার সৎ ভাই দাউদ মিয়া এসে বাতরুমে গিয়ে বালতির পানিতে ডুবে থাকতে দেখেন নবজাতক আয়ানকে। উপজেলাপরে উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নেবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ইদ্রিস মিয়া পেশায় একজন  টিভি মেকানিক। শাকিলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায়। দেড় বছর আগে তাঁরা বিয়ে করেন। আয়ান তাঁদের প্রথম সন্তান। ১৪ দিন আগে স্বাভাবিকভাবে  প্রসব হয় আয়ানের। ইদ্রিসের বসত ঘরটি টিনশেডের। ঘরের সঙ্গে যুক্ত বাতরুমটি।  ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দা দিয়ে বাতরুমে আসা যাওয়া করতে হয়।
সাকিলার দিন কাটে আয়ানের দেখাশোনা করে। দুপুর ১১টার দিকে আয়ান ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আয়ানকে জড়িয়ে ধরে সাকিলাও ঘুমিয়ে যায়। সাড়ে ১১টার দিকে আয়ানের দাদি রান্না ঘর থেকে এসে দেখতে পান সাকিলার পাশে আয়ান নেই। শাকিলাকেঘুম থেকে উঠান  দাদী শামসুন্নাহার।পরে দুজনই চিৎকার শুরু করেন। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং আয়ানের সন্ধান করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাথেরুম গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় বালতির পানিতে আয়ানকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। বার বার অচেতন হয়ে যাওয়ার কারনে শাকিলার সাথে এবিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরিয়ানের দাদি শামসুন্নাহার বেগম বলেন, আমার চোখের আড়াল হবার সর্বোচ্চ আধা ঘন্টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে নবজাতকের সঙ্গে এমন হিংস্র কাজটি করল- এর কিছুই ধারণা করতে পারছেন না তিনি।  বাবা ইদ্রিস মিয়া বাড়ির বাহিরে ছিলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্বপ্না রাণী দত্ত বলেন, আমরা নবজাতকটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পানিতে ডুবে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হবার কারণে আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ এসে মৃত নবজাতকটিকে নিয়ে যায়।
নবজাতক হত্যার খবর জেনে হাসপাতালে আসেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম সহ এসআই মোস্তাক ও রফিকুল ইসলাম।  ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, নবজাতকের মৃত্যুটি অস্বাভাবিক ও  রহস্যজনক। এই কারণে ময়নাতদন্ত করা হবে।
error: Content is protected !!